আরও ৯৬০০ টন চাল ও ৬ কোটি ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দ

চালকরোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের তাৎক্ষণিক মানবিক সহায়তা হিসেবে আরও ছয় কোটি ৩০ লাখ টাকা এবং ৯ হাজার ৬০০ টন চাল বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। বরাদ্দকৃত টাকার মধ্যে ত্রাণ হিসেবে বিতরণের জন্য চার কোটি ৭০ লাখ ও শিশুখাদ্য কেনা বাবদ এক কোটি ৬০ লাখ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (১৮ মে) দেশের ৬৪ জেলার জেলা প্রশাসকদের অনুকূলে এই বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যেই এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতর। 

শিশুখাদ্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে সরকারি ক্রয়বিধিসহ সংশ্লিষ্ট সব বিধি-বিধান ও আর্থিক নিয়মাচার যথাযথভাবে মানতে হবে বলে আদেশে বলা হয়েছে। জিটুজি পদ্ধতিতে কিনে মিল্ক ভিটার উৎপাদিত গুড়োদুধ চলমান কাজে ত্রাণসামগ্রী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এছাড়া শিশুখাদ্য হিসেবে খেজুর, বিস্কুট, ফর্টিফাইড তেল, ব্রাউন চিনি, সুজি, মসুর ডাল, সাগু, ফর্টিফাইড চাল, ওয়াটার পিউরিফায়ার ট্যাবলেট, বাদাম, মানসম্মত রেডিমেড ফুড ইত্যাদি খাদ্যদ্রব্য স্থানীয়ভাবে কিনে বিতরণ করতে হবে।

জেলা প্রশাসকরা আরোপিত শর্তাবলী যথাযথভাবে অনুসরণ করে ছাড় করা অর্থে শিশুখাদ্য কিনে বিতরণ করবেন এবং নিরীক্ষার জন্য হিসাব সংরক্ষণ করবেন। জেলা প্রশাসকরা দুর্যোগ পরিস্থিতিতে মানবিক সহায়তা কর্মসূচি বাস্তবায়ন নির্দেশিকা অনুসরণ করে এ বরাদ্দ বিতরণ করবেন এবং প্রয়োজনীয় হিসাব সংরক্ষণ করবেন।

সিটি করপোরেশন ও পৌর এলাকায় বেশি সংখ্যক কর্মজীবী মানুষ বসবাস করেন বিধায় জেলা প্রশাসকদের বরাদ্দের ক্ষেত্রে এসব এলাকাকে বেশি গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে আদেশে।

এবারের বরাদ্দ থেকে ত্রাণসামগ্রী হিসেবে শাক-সবজি কিনে বিতরণ করা যেতে পারে বলেও আদেশে বলা হয়েছে। প্রত্যেক ত্রাণ গ্রহণকারীকে কমপক্ষে পাঁচটি করে গাছ লাগানোর অনুরোধ করা যেতে পারে বলে বরাদ্দপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।