মঙ্গলবার (১৯ মে) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ এশিয়া ও কমনওয়েলথ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী লর্ড আহমেদের সঙ্গে ফোনে আলাপকালে সোমবার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এ অনুরোধ করেন।
এ সময় শাহরিয়ার আলম উল্লেখ করেন, তৈরি পোশাক খাতে যুক্তরাজ্যের ক্রেতারা প্রায় ৩০০ মিলিয়ন ডলারের ক্রয় আদেশ বাতিল বা স্থগিত করেছেন। ফলে এ সেক্টরে কর্মরত প্রায় ১০ লাখ শ্রমিক এবং তাদের পরিবারের জীবিকা অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে। বিশেষ তহবিল গঠন বাংলাদেশে এ খাতে কর্মরত শ্রমিক ও তাদের পরিবারের জন্য সহায়ক হবে।
করোনা পরবর্তী বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে কমনওয়েলথের কার্যকর ভূমিকা রাখার বিষয়ও তাদের আলোচনায় স্থান পায়। লর্ড আহমেদ করোনা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের প্রশংসা করেন। করোনার কারণে সৃষ্ট সমস্যা সমাধানে উভয় প্রতিমন্ত্রী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করার বিষয়ে একমত পোষণ করেন।
এ সময় মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে মানবিকতার পরিচয় দিয়েছেন তার প্রশংসা করেন যুক্তরাজ্যের এই প্রতিমন্ত্রী। যুক্তরাজ্যকে জাতিসংঘে রোহিঙ্গা ইস্যুতে সক্রিয় দেশ হিসেবে উল্লেখ করে লর্ড আহমেদ বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের ওপর সংঘটিত নৃশংস ঘটনার ন্যায়বিচার এবং এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি নিশ্চিত করতে যুক্তরাজ্যের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে।’ মিয়ানমারের গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিষয়ে আন্তর্জাতিক আদালতের সিদ্ধান্তের প্রতি তারা আস্থাশীল বলে যুক্তরাজ্যের প্রতিমন্ত্রী উল্লেখ করেন।
উভয় প্রতিমন্ত্রী নিকট ভবিষ্যতে আবারও দ্বিপক্ষীয় বিষয়ে আলোচনার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।