প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত পয়েন্টগুলো আমরা চিহ্নিত করেছি। ইতোপূর্বে দুর্যোগের প্রস্তুতি হিসেবে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে পাঁচ হাজার ৫৫৭ কিলোমিটার বাঁধের ব্যবস্থা করেছি। কিন্তু আম্পানের প্রভাবে দেশের নদ-নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের তুলনায় কমপক্ষে ৮-১০ ফুট বেশি উচ্চতায় পানি বেড়েছে, যা বিভিন্ন জেলার বেড়িবাঁধ বা তীররক্ষা বাঁধকে কোথাও কোথাও ভেঙে দিয়েছে বা কোথাও সেই বাঁধ উপচে জোয়ারের পানি জনপদে প্রবেশ করেছে।
এ সময় উপস্থিত পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম বলেন, সারাদেশে প্রায় ১৭ হাজার কিলোমিটার বাঁধ রয়েছে। দুর্যোগ প্রাকৃতিক তাই ঠেকানো যায় না। তবে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ও নির্দেশনায় জানমালের যাতে ক্ষতি না হয় সেজন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত আছে। আক্রান্ত এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কর্মস্থলে আছেন। তারা জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয়দের সহায়তায় বালুভর্তি জিও ব্যাগের মাধ্যমে ভাঙন রোধের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাহমুদুল ইসলাম, বাপাউবো মহাপরিচালক এ এম আমিনুল হক উপস্থিত ছিলেন।