বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের জন্য প্রথমবার বিমানে চার্টার্ড ফ্লাইট

বিমানে উঠছেন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী সদস্যরাবাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের চার্টার্ড ফ্লাইটে বহন করলো রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। এমন ঘটনা এটাই প্রথম। তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করছে বাংলাদেশ।

শুক্রবার (২৯ মে) ভোরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমানের চার্টার্ড ফ্লাইটটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বিমান বাহিনীর ১৭৯ জন শান্তিরক্ষীকে নিয়ে মধ্য আফ্রিকার দেশ সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের রাজধানী বাঙ্গুইয়ের উদ্দেশে যাত্রা করে।

শাহজালাল বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এএইচএম তৌহিদ উল-আহসান বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের বহন করতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি চার্টার্ড ফ্লাইটের ব্যবস্থা করে জাতিসংঘ সদর দফতর। এতে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীরা সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকে নিযুক্ত জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের মিনুসকা মিশনে যোগ দেবেন।

বিমানে উঠছেন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী সদস্যরাজাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের বহনে দেশের নিজস্ব বিমান চার্টার্ড করলো জাতিসংঘ। এটি একটি মাইলফলক। জাতিসংঘ সদর দফতরের সঙ্গে বিমান চার্টার্ড সংক্রান্ত চুক্তিস্বাক্ষর, সার্বিক সমন্বয় ও নিবিড় যোগাযোগ রক্ষা করেছে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বিমানবাহিনীর ১৭৯ জন শান্তিরক্ষীর মধ্যে রয়েছে আর্মড ইউটিলিটি হেলিকপ্টার ইউনিটের ১২৫ জন সদস্য, কুইক রিঅ্যাকশন ফোর্স কোম্পানির অগ্রবর্তী দলের ২০ জন সদস্য এবং কোভিড-১৯ মহামারির কারণে আটকে পড়া মিনুসকা মিশনের ৩৪ জন শান্তিরক্ষী। ফ্লাইটটি ৩০ মে সকালে বাঙ্গুইতে পৌঁছানোর কথা।

বর্তমানে ৬ হাজার ৫৪৩ জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী বিশ্বের ৯টি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে কর্মরত রয়েছেন। তাদের মধ্যে ১ হাজার ৬১ জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের মিনুসকা মিশনে দায়িত্ব পালন করছেন। জাতিসংঘের এই শান্তিরক্ষা মিশন ২০১৪ সালের ১০ এপ্রিল কাজ শুরু করে।