এ বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, বিভিন্ন দেশে বিনিয়োগ স্থানান্তর হচ্ছে এবং এই অবস্থায় বাংলাদেশের জন্য সুযোগ আছে।
তিনি বলেন, ‘এখানে প্রতিযোগিতা আছে। ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনামসহ অন্য দেশগুলো বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার চেষ্টা চালাবে। আমরাও চেষ্টা চালাবো।’
তিনি বলেন, কোন বিদেশি কোম্পানি কোথায় কাজ করে আমরা তার একটি তালিকা তৈরি করেছি এবং এই তালিকা বেসরকারি খাতকে দিয়ে দেবো যাতে করে তারা বিদেশিদের সঙ্গে আলোচনা করতে পারে।
দক্ষিণ কোরিয়ার উদাহরণ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ৭০ দশকের শেষ দিকে ওই দেশ তৈরি পোশাক শিল্পে কোটার বেশি উৎপাদন করা শুরু করলে রফতানি প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়ে এবং তারাই বাংলাদেশে প্রথম তৈরি পোশাক শিল্প স্থাপন করে। এর ফলে ওই সময়ে নিজ দেশ এবং অন্য দেশের কোটা ব্যবহার করে তারা রফতানি করতো।
মন্ত্রী বলেন, ‘একইভাবে আমরা চীনকে বলবো কোনও দেশের কারণে তাদের সমস্যা হলে তারা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে পারে।’
বাংলাদেশে বিনিয়োগ সহায়ক পরিবেশ আছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এখানে যথেষ্ট বড় লেবার ফোর্স (শ্রমশক্তি) আছে যারা দ্রুত যে কোনও জিনিস আয়ত্ত করতে পারে এবং পরিশ্রমী। এছাড়া ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল ও ২৮টি হাইটেক পার্ক তৈরি হচ্ছে এবং এখানে ছয় লাখ আইটি এক্সপার্ট আছেন যারা ফ্রিল্যান্স কাজ করে।’
আমাদের একটি সম্ভাব্য সুযোগ আছে এবং এটিকে আঁকড়ে ধরার ওপরে গুরুত্ব আরোপ করে তিনি বলেন, ‘কেউ নিজে থেকে কিছু দেবে না, দেশকেই এ সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে, এটি সহজ নয়। আমাদের হোম ওয়ার্ক দরকার। আমাদের মন মানসিকতা তৈরি করতে হবে বিনিয়োগের জন্য। সরকারের প্রতিটি স্তরে বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য কাজ করতে হবে।’