চীনা চিকিৎসক দল আসায় উৎসাহ পাবেন দেশের ডাক্তার ও রোগীরা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

 

বিমানবন্দরে চীনা চিকিৎসক দলকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রীচীন থেকে আসা চিকিৎসক দলের কারণে দেশের চিকিৎসক ও রোগীরা উৎসাহ পাবেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন।

সোমবার (৮ জুন) চীন থেকে ১০ সদস্যের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল ঢাকায় এসে পৌঁছালে তাদের স্বাগত জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তারা আগামী ২২ জুন পর্যন্ত বাংলাদেশে অবস্থান করবেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিমানবন্দরে চীনা চিকিৎসক দলকে স্বাগত জানাতে গিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘চীন থেকে আসা চিকিৎসক দলের কারণে দেশের চিকিৎসক ও রোগীরা উৎসাহ পাবেন। পৃথিবীর সব দেশকে সম্মিলিতভাবে করোনা মহামারি মোকাবিলায় কাজ করতে হবে। করোনা বৈশ্বিক ইস্যু এবং এটা কোনও একক দেশের পক্ষে ম্যানেজ করা সম্ভব নয়। করোনা পরবর্তী অর্থনৈতিক সমস্যা মোকাবিলায়ও বিভিন্ন দেশের পারস্পরিক সহযোগিতা ও অংশীদারিত্ব প্রয়োজন।’

ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘চীন বাংলাদেশের করোনা মোকাবিলায় সহযোগিতার পাশাপাশি রোহিঙ্গা বিষয়েও বিশেষ আগ্রহ নিয়ে কাজ করছে।’

তিনি বলেন, ‘আশা করি রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানেও চীনের সহায়তা আমাদের অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে।’ চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক আরও গভীর হবে বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

ড. মোমেন বলেন, ‘চীনের এই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল আমাদের চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। বিভিন্ন হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থা পরিদর্শন করবেন। প্রয়োজনে তারা এ দেশের করোনা চিকিৎসার বিষয়ে সুপারিশ করবেন। এতে আমাদের রোগীরা সাহস পাবেন।’

এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী উল্লেখ করেন, চীন করোনা নিয়ন্ত্রণে সফল হয়েছে। করোনা রোগী ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে অন্যান্য দেশও চীনকে অনুসরণ করছে। এমনকি সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টিও চীন প্রথম আবিষ্কার করে।

এর আগে চিকিৎসক দল পাঠানোর বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চীনের প্রেসিডেন্ট জি জিনপিং আশ্বস্ত করেছিলেন। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমেও চীনের চিকিৎসক দল বাংলাদেশের চিকিৎসকদের পরামর্শ প্রদান করেছিল। ইতোপূর্বে চীন সরকার এবং চীনের বেসরকারি সংস্থা ‘আলীবাবা’ ও ‘জ্যাকমা’ পিপিই, মাস্ক, টেস্টিং কিট, থার্মোমিটারসহ বিভিন্ন চিকিৎসা সামগ্রী পাঠিয়েছে। বাংলাদেশও চীনকে করোনা মোকাবিলায় চিকিৎসা সামগ্রী পাঠিয়েছিল।

এ সময় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক এফ এম বোরহান উদ্দীন।