বন্যা পূর্বাভাস ও নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুজ্জামান ভুইয়া বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, যমুনার কিছু পয়েন্টে পানি ইতোমধ্যে বিপদসীমার ওপরে উঠে গেছে। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের দিকে কিছু এলাকায় পানি বেড়ে গেছে। আগামী কয়েকদিনে পানি আরও বাড়বে। এ কারণে উত্তরাঞ্চল ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জেলাগুলো বন্যাকবলিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, নীলফামারী, লালমনিরহাট, সিলেট ও সুনামগঞ্জ এলাকার নদীর পানি বিপদসীমার ওপরে উঠে গেছে। এখন এসব এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। আগামী কয়েকদিন পানি আরও বাড়বে। এতে এসব এলাকার নতুন নতুন জায়গা বন্যাকবলিত হবে। এটিকে মধ্যমেয়াদি বন্যা বলা যায়। দুই সপ্তাহের মতো পানি থাকতে পারে এসব এলাকায়। আগামী ৪-৫ তারিখ পর্যন্ত এই পানি বাড়বে। তাতে আরও জেলা প্লাবিত হতে পারে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র আগামী ৬ জুলাই পর্যন্ত পূর্বাভাসে জানিয়েছে, ব্রহ্মপুত্র ও যমুনার পানি আগামী ১০ দিন বাড়তে পারে। মুন্সীগঞ্জ জেলার ভাগ্যকূল পয়েন্ট এবং রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ পয়েন্টে পদ্মার পানি বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে। এসব জেলায় বন্যার শঙ্কা আছে। এর প্রভাবে ছয় জেলা ছাড়াও জামালপুর, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, টাঙ্গাইল, রাজবাড়ী ও মুন্সীগঞ্জ প্লাবিত হতে পারে।
এদিকে আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া উত্তরাঞ্চলের কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আবহাওয়াবিদ আব্দুল হামিদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, রাজশাহী, রংপুরসহ উত্তরাঞ্চলে ভারী বৃষ্টির শঙ্কা আছে। এই বৃষ্টি থেমে থেমে বেশ কয়েকদিন থাকতে পারে।
আবহাওয়া অধিদফতরের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসেও বন্যার কথা বলা হয়েছে। বলা হয়েছে, জুনে মৌসুমি ভারী বৃষ্টির কারণে দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের কিছু এলাকায় স্বল্পমেয়াদি বন্যা হতে পারে।