খাদ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন দেশের এক ইঞ্চি জমিও যেন পতিত না থাকে। প্রতি ইঞ্চি জমিতে যেন চাষাবাদ করা হয়। সেই আলোকেই এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে গাছের চারা ও সবজির বীজসহ অন্যান্য উপকরণ বিতরণ করা হয়। মন্ত্রী বলেন, একটি গাছ নিধন করা আর একজন মানুষ হত্যা করা প্রায় সমান, যেহেতু গাছের মাধ্যমে আমরা অক্সিজেন গ্রহণ করি। কোনও গাছ যেন কাটা না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখার জন্য তিনি স্থানীয় প্রশাসনসহ উপস্থিত সবাইকে নির্দেশ দেন।
চালকল মালিকদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, এই করোনাকালীন সময়ে মানবতার সেবায় এগিয়ে আসুন। আপনারা সরকারের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ চাল সরকারি গুদামে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জমা দিবেন। অতীতেও আপনারা সরকারকে চাল দিয়ে সহযোগিতা করেছেন; আশা করি এ বছরও সরকারি গুদামে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে চাল দিয়ে সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখবেন। তিনি বলেন, এখন ভরা মৌসুম; এই সময়ে চালের দাম বৃদ্ধি পাবার কোনও কারণ নেই। ব্যবসায়ীদের সাবধান করে দিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, চালের বাজার অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করবেন না। ইতোমধ্যেই সরকার চাল আমদানি করার চিন্তাভাবনা শুরু করেছে। এই করোনাকালীন সময়ে অপচেষ্টার মাধ্যমে যদি চালের মূল্য বাড়ানো হয়, তাহলে সরকারিভাবেই চাল আমদানি করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। চালের বাজার অস্থিতিশীল হলে সরকার কঠোর অবস্থানে যাবে।
অনুষ্ঠানে পোরশা উপজেলা কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী, পোরশা উপজেলা বন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ স্থানীয় কৃষকরা উপস্থিত ছিলেন।