১৪টি দেশের জন্য ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার সুপারিশ

ইউরোপিয়ান ইউনিয়নদীর্ঘ আলোচনার পরে ১৪টি দেশের জন্য ইউরোপিয়ান কাউন্সিল ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার সুপারিশ করেছে। ১ জুলাই থেকে আলজেরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জর্জিয়া, জাপান, মন্টেনিগ্রো, মরক্কো, নিউ জিল্যান্ড, রুয়ান্ড, সার্বিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড, তিউনিসিয়া ও উরুগুয়ের নাগরিকদের জন্য এই নিষেধাজ্ঞা তুলে দিতে পারবে ইইউভুক্ত দেশগুলো। এছাড়া চীনের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে তারা যদি ইইউভুক্ত দেশগুলোর নাগরিকদের প্রবেশের অনুমতি দেয় তবে তাদের নাগরিকরাও ইইউতে ঢুকতে পারবে।

এছাড়া অ্যান্ডোরা, মোনাকো, সান ম্যারিনো, ভ্যাটিকান ইইউ সদস্যভুক্ত না হলেও ওইসব দেশের নাগরিকদের ক্ষেত্রে কোনো বাধ্যবাধকতা থাকবে না এবং তাদের ইইউভুক্ত দেশগুলোর নাগরিকদের মতো করে দেখা হবে। এর কারণ হচ্ছে—ইইউ সম্প্রসারণের যে পরিকল্পনা আছে ওইসব দেশ তার অন্তর্ভুক্ত।

ইইউ থেকে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দীর্ঘ আলোচনার পরে মঙ্গলবার ইউরোপিয়ান কাউন্সিল এই সুপারিশ করে। এই সুপারিশ দুই সপ্তাহ পরপর পুনর্বিবেচনা করা হবে।

এপিডেমিওলজিক্যাল পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে এই দেশগুলোর ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে বলা জানানো হয়েছে ওই বিজ্ঞপ্তিতে।

এ ক্ষেত্রে গত ১৪ দিনে যে পরিমাণ কোভিড-১৯ রোগী ধরা পড়েছে সেটি ইইউ গড়ের সমান বা কম কিনা, গত ১৪ দিনে রোগীর সংখ্যা কমছে কিনা  এবং কোভিড-১৯ মহামারি ঠেকানোর জন্য কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে—ভ্রমণের ক্ষেত্রে এই তিনটি বিষয় বিবেচনা করেছে ইউরোপিয়ান কাউন্সিল।

এই সুপারিশ ইইউভুক্ত দেশগুলোর জন্য বাধ্যমূলক নয় এবং স্ব স্ব দেশ তাদের পছন্দ অনুযায়ী তাদের সীমানা সুপারিশকৃত দেশের নাগরিকদের জন্য খুলে দিতে পারবে। তবে এই ১৪টি দেশ বাদে অন্য দেশের নাগরিকদের ক্ষেত্রে তারা নিজেদের মতো করে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না।

বাংলাদেশের জন্য ইইউ কবে খুলে দিতে পারে জানতে চাইলে একজন কূটনীতিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, 'যে তিনটি বিষয় বিবেচনা করে সীমান্ত খুলে দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। সেগুলোর উন্নতি না হলে বাংলাদেশিদের জন্য ইইউতে ঢোকা কঠিন হবে।’