মিলারদের উদ্দেশে খাদ্যমন্ত্রী

‘কেউ দাম বাড়ানোর চেষ্টা করলে সরকার চাল আমদানিতে বাধ্য হবে’

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারখাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, ‘কেউ যদি অপচেষ্টার মাধ্যমে চালের দাম বাড়ানোর চেষ্টা করে তাহলে কঠোর অবস্থানে যাবে সরকার। এ ক্ষেত্রে প্রয়োজন হলে সরকারিভাবে আবার চাল আমদানি করা হবে। এবার বোরো মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। এই ভরা মৌসুমে চালের বাজার অস্থিতিশীল হওয়ার কোনও কারণ নেই।’

বুধবার (১ জুলাই) 'বাজারে চালের মূল্য স্থিতিশীল রাখার বিষয়ে আলোচনা' শীর্ষক এক সভায় নিজের সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। 

সভায় সমন্বয় ও সঞ্চালনা করেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ডক্টর মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম।

সভায় দেশের আটটি বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার, আটটি বিভাগের বিভাগীয় চালকল মালিক সমিতির দুই জন করে প্রতিনিধি, খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক, খাদ্য মন্ত্রণালয় ও খাদ্য অধিদফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সংযুক্ত ছিলেন।

সভায় উপস্থিত চালকল মালিকদের উদ্দেশে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারের সঙ্গে করা চুক্তি অনুযায়ী সরকারি গুদামে চাল সরবরাহ করেন। যদি তা না করেন তবে সরকার চাল আমদানিতে যেতে বাধ্য হবে। কিন্তু সরকার আমদানিতে যেতে চায় না। এই সময় যে সব মিল সরকারের সহযোগিতায় এগিয়ে আসবে, তাদের এ, বি, সি এভাবে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে চিহ্নিত করে সেভাবে মূল্যায়ন করা হবে।’

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘এই করোনার সময়ে সবাই বিপদগ্রস্ত। এবার না হয় লাভ একটু কম করলেন। প্রত্যেকবার লাভ সমান হয় না। এবার মানুষকে সেবা করার সুযোগ রয়েছে। এবছর সেবার মানসিকতা নিয়ে এগিয়ে আসুন।’

তিনি বলেন, ‘কৃষক বাঁচলে ধান উৎপাদিত হবে এবং আপনারা চালকল মালিকরা বেঁচে থাকবেন। কৃষক যাতে বিপাকে না পড়ে বিশেষ করে প্রান্তিক কৃষক যেন ধানের ন্যায্যমূল্য পায় সেজন্য এবার আট লাখ মেট্রিক টন ধান কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ইতোমধ্যেই কৃষকরা ধানের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন।’

মন্ত্রী মিলগেট থেকে কোন ধান কত দামে বিক্রি হচ্ছে তা যাচাই করা এবং মনিটরিং করার জন্য উপস্থিত বিভাগীয় কমিশনারদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন।

সভায় উপস্থিত বরিশাল বিভাগ চালকল মালিক সমিতির সভাপতি বলেন, গত বোরো মৌসুমের শেষদিকে কৃষক ধান বিক্রি করে মণপ্রতি ভালো লাভ করেছিল, এবারও বেশিরভাগ কৃষক যে যতটুকু পারে সেই পরিমাণ ধান নিজেদের কাছে ধরে রেখেছে। তাদের আশা এবারও শেষ দিকে বেশি দামে ধান বিক্রি করতে পারবে।