বাণিজ্য সুবিধা অব্যাহত রাখার তাগিদ সাবেক কূটনীতিকদের

সাবেক কূটনীতিকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল সভাকরোনা পরিস্থিতি ও পরবর্তী সময়ের জন্য স্বল্পমেয়াদি, মধ্যমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণের সুপারিশ করেছেন সাবেক কূটনীতিকরা। করোনা মহামারির কারণে সৃষ্ট সংকট মোকাবিলা এবং এ বিষয়ে বাংলাদেশের জন্য করণীয় নির্ধারণে বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ও রাষ্ট্রদূতদের নিয়ে আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় তারা এ আহ্বান জানান।

আলোচকরা ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন দ্বিপক্ষীয়, আঞ্চলিক ও বহুপাক্ষিক উদ্যোগ গ্রহণের বিষয়ে আলোকপাত করেন। তাছাড়া বাংলাদেশের ওপর করোনার সম্ভাব্য বিরূপ প্রভাব নিয়েও আলোচনা করেন তারা। সম্প্রতি বাংলাদেশের কোটামুক্ত সুবিধা প্রাপ্তির প্রশংসা করেন তারা।

বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত, চীন, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিভিন্ন দেশ ও আঞ্চলিক সংস্থার ঘনিষ্ঠতা বাড়ানো এবং দ্বিপক্ষীয় ও আঞ্চলিক সম্পর্ক জোরদারকরণের উদ্যোগকে স্বাগত জানান আলোচকরা। এছাড়া সাবেক কূটনীতিকরা করোনার টিকা আবিষ্কৃত হলে বাংলাদেশসহ বিশ্বের উন্নয়নশীল ও স্বল্পোন্নত দেশসমূহ যাতে উন্নত বিশ্বের মতো একইভাবে উপকৃত হতে পারে সে বিষয়ে দেশের বিভিন্ন কার্যক্রমের প্রশংসা করেন।

এ সময় ইউরোপীয় ইউনিয়ন আয়োজিত কোভিড-১৯ তহবিল গঠনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণের প্রশংসা করা হয়। এছাড়া গ্লোবাল ভ্যাকসিনেসন সামিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া বক্তব্যের ভূয়সী প্রশংসা করেন সাবেক কূটনীতিকরা।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ ভার্চুয়াল সভায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মাদ শাহরিয়ার আলম ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সংযুক্ত ছিলেন।

সভায় আরও ছিলেন এম আর ওসমানী, ফারুক সোবহান, সি এম শফি সামি, শমসের মোবিন চৌধুরী, একেএম আতিকুর রহমান, মোহাম্মাদ শহিদুল হক, মোহাম্মাদ আব্দুল হান্নান, হুমায়ুন কবির, আহমদ তারিক করিম ও মহসীন আলী খান।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন কার্যক্রমে সাবেক এসব কূটনীতিকের সুপারিশ গুরুত্ব সহকারে বিবেচিত হবে বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী উল্লেখ করেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাশে থাকায় সাবেক কূটনীতিকদের ধন্যবাদ জানান মন্ত্রী। আগামীতেও এ ধরনের আলোচনা অব্যাহত থাকবে বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী উল্লেখ করেন।