কারসাজি ঠেকাতেই শুল্ক কমিয়ে চাল আমদানির সুযোগ: খাদ্যমন্ত্রী

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারদেশে চাল উদ্বৃত্ত থাকলেও শুল্ক কমিয়ে আমদানির সুযোগ দিচ্ছে সরকার। ব্যবসায়ীদের কারসাজি বন্ধ করে চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা সুমন মেহেদি মঙ্গলবার (৭ জুলাই) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানান।

মন্ত্রী বলেছেন, ‘চালের বাজার স্থিতিশীল রাখার স্বার্থেই আমদানি শুল্ক কমিয়ে বিদেশ থেকে চাল আমদানি করা হবে।’

এর আগে গত ১ জুলাই খাদ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘অপচেষ্টার মাধ্যমে চালের বাজার অস্থিতিশীল করা হলে কঠোর অবস্থানে যাবে সরকার। প্রয়োজনে চাল আমদানি করা হবে।’

চালকল মালিক ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে ওই দিন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছিলেন, ‘এবার বোরো মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে; এই ভরা মৌসুমে চালের বাজার অস্থিতিশীল হওয়ার কোনও কারণ নেই। যদি কেউ অপচেষ্টার মাধ্যমে চালের মূল্য বৃদ্ধি করার চেষ্টা করে তাহলে কঠোর অবস্থানে যাবে সরকার।’

চালকল মালিকদের উদ্দেশে খাদ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘চালের বাজার স্থিতিশীল রাখেন, সরকারের সঙ্গে করা চুক্তি অনুযায়ী সরকারি গুদামে চাল সরবরাহ করেন; যদি তা না করেন তবে সরকার চাল আমদানিতে যেতে বাধ্য হবে। কিন্তু সরকার আমদানিতে যেতে চায় না; গেলে মিলারদের লোকসান হবে এবং যে সমস্ত কৃষক ধান ধরে রেখেছে তারাও লোকসানে পড়বে।’

এই সময়ে যে সমস্ত মিল এগিয়ে আসবে তাদের ‘এ’ ‘বি’ ‘সি’ ক্যাটাগরিসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে চিহ্নিত করার জন্য ইতোমধ্যেই খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেসব মিলকে পরবর্তীতে সেভাবে মূল্যায়ন করা হবে।

মন্ত্রীর এই আহ্বানের পরও বাজারে চালের দাম বাড়তে থাকে। ছোট ব্যবসায়ীদের অভিযোগ মিল মালিক ও বড় ব্যবসায়ীরা তাদের কারসাজি চালিয়ে যাচ্ছেন, চালের দাম বেড়েছে সে কারণেই।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে হাওরে বন্যার সময় সরকারিভাবে চালের সংগ্রহ বাধাগ্রস্ত হলে সরকার চাল আমদানির ওপর ট্যাক্স ফ্রি করে দিয়েছিল। ফলে ৪০ লাখ মেট্রিক টন চাল বিভিন্নভাবে আমদানি করা হয়। এতে ওই বছর মিলমালিকরা এবং কৃষক উভয়েই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন। খাদ্য মন্ত্রণালয় জানায় এবারও ধান-চাল উদ্বৃত্ত রয়েছে।