আরও তিন জনকে নিয়ে ১০৭ জনপ্রতিনিধি বরখাস্ত

চাল চুরিপ্রধানমন্ত্রীর মানবিক কর্মসূচি এবং খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে চাল বিতরণের তালিকায় অনিয়ম এবং আত্মসাতের অভিযোগে আরও দুই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও এক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যকে বরখাস্ত করা হয়েছে। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে মঙ্গলবার (৭ জুলাই) এ সংক্রান্ত পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত বরখাস্ত হলেন ১০৭ জন প্রতিনিধি।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সরকারি নিয়ম-নীতির ব্যত্যয় ঘটিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মানবিক সহায়তা কর্মসূচির ১৯৮ জন উপকারভোগীর কাছ থেকে বিবিধ ট্যাক্সের নামে ২৮০ টাকা হারে অর্থ আদায়ের অভিযোগে বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার ময়দানহাট্টা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম রুপমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির হতদরিদ্রদের তালিকা প্রণয়নে ব্যাপক অনিয়ম, নিয়মবহির্ভূতভাবে ডিলারকে দিয়ে তালিকা প্রস্তুত করা, মৃত ব্যক্তিকে ও একই ব্যক্তির নাম একাধিকবার অন্তর্ভুক্ত এবং বরাদ্দকৃত চাল সঠিক ব্যক্তির মাঝে বিতরণ না করার অভিযোগে হবিগঞ্জ জেলার ১১ নম্বর গজনাইন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমদাদুর রহমান মুকুলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

এছাড়া, মাদারীপুর জেলার কালকিনি উপজেলার নবগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য উত্তম বিশ্বাসকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিতরণে অনিয়ম ও আত্মসাতের অভিযোগে বরখাস্ত করা হয়েছে। স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ অনুযায়ী তাদের নিজ নিজ পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করলো স্থানীয় সরকার বিভাগ।

সাময়িক বরখাস্তকৃত সদস্যদের পৃথক পৃথক কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। কেন তাদের চূড়ান্তভাবে পদ থেকে অপসারণ করা হবে না তার জবাব চিঠি পাওয়ার ১০ কার্যদিবসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার বিভাগে পাঠাতে অনুরোধ করা হয়।

উল্লেখ্য, স্থানীয় সরকার বিভাগ জানিয়েছে, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত মোট ১০৭ জনপ্রতিনিধিকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। এদের মধ্যে ৩৫ জন ইউপি চেয়ারম্যান, ৬৬ জন ইউপি সদস্য, একজন জেলা পরিষদ সদস্য, চার জন পৌর কাউন্সিলর এবং একজন উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান।