মন্ত্রী বলেন, ‘এবার গবাদিপশুর পরিবহনে কোনোভাবেই যেন চাঁদাবাজি না হয়। সিন্ডিকেট করে ট্রাক আটকানো বন্ধ করতে প্রয়োজনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে হবে। খামারি ও গবাদিপশু বিক্রেতারা যাতে হয়রানির শিকার না হন। যারা হাটের বাইরে পশু বিক্রি করবে তাদের কাছে যেন কেউ টোল বা হাসিল তুলতে না যায়, এ বিষয়গুলোতে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।’
মন্ত্রী আরও বলেন, গবাদিপশুর ক্রয়-বিক্রয় যতটা সম্ভব অনলাইন প্লাটফর্মে করতে হবে। এ বিষয়টি তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে দিতে হবে। অনলাইনে গবাদিপশুর মূল্য নির্ধারণে মাঠপর্যায়ের প্রাণিসম্পদ দফতরগুলো সহায়তা করবে। ইতোমধ্যে তারা প্রান্তিক খামারিদের উৎসাহিত করছে। ট্রাকের পাশাপাশি বিকল্প হিসেবে স্বল্প খরচে রেলওয়ের মাধ্যমেও গবাদিপশু পরিবহন করা যাবে। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রাণিসম্পদ দফতরগুলো ট্রেনের রুট ও শিডিউল ঠিক করে দেবে।
প্রতিটি জেলা প্রশাসন মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে অনলাইনে কোরবানির গবাদিপশু কেনাবেচার উদ্যোগ নিয়েছে বলে স্ব-স্ব বিভাগীয় কমিশনাররা সভায় জানান। ডিজিটাল প্লাটফর্মে বিভাগের অন্তত ৩০ শতাংশ গবাদিপশু কেনাবেচার প্রচেষ্টা থাকবে বলেও কমিশনাররা সভায় আশ্বস্ত করেন। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের উদ্বুদ্ধ করার জন্য গণমাধ্যমে ব্যাপক প্রচারণা চালানো প্রয়োজন বলেও তারা সভায় অভিমত দেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ, অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. আবদুল জব্বার শিকদার, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. নাথুরাম সরকারসহ সব বিভাগীয় কমিশনার এবং বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দফতরের উপ-পরিচালকরা সভায় অনলাইনে অংশ নেন।