রিজেন্ট হাসপাতালের অনিয়ম সরকারই উদঘাটন করেছে: তথ্যমন্ত্রী

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ (ছবি: ফোকাস বাংলা)রিজেন্ট হাসপাতালের অনিয়ম নিয়ে নানা সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘সরকারই এ হাসপাতালের অনিয়ম উদঘাটন করেছে, অন্য কেউ নয়। বিএনপিও এ নিয়ে আগে কোনও প্রশ্ন তোলেনি।’ শুক্রবার (১০ জুলাই) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ‘সরকারের মদতে রিজেন্টের অনিয়ম’ এমন মন্তব্যের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারি সংস্থা নিজেই ঢাকায় রিজেন্ট হাসপাতালের দুটি শাখায় অভিযান ও মামলা করেছে, গণমাধ্যমের কোনও প্রতিবেদনের ভিত্তিতে নয়। এরপর এ বিষয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য আমি গণমাধ্যমকে ধন্যবাদ জানাই।’

গণমাধ্যমকে উদ্ধৃত করে মির্জা ফখরুলের কাছে প্রশ্ন রেখে মন্ত্রী বলেন, ‘পত্রপত্রিকার রিপোর্টে দেখা যায়, সাহেদ করিম বিএনপি আমলে হাওয়া ভবনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, এরপর দু বছর জেলেও ছিলেন। রিপোর্ট অনুযায়ী, কয়েক মাস আগেও যুবদলের নেতাকে সামনে রেখে সাহেদ যখন তারেক রহমানের সঙ্গে স্কাইপে কথা বলেন, তখন সেটি কাদের মদতে ঘটে।’

তিনি বলেন, ‘সাহেদকে যারা টক শোতে সুযোগ দিয়েছিলেন তাদেরও দায় রয়েছে, কারণ সে টক শো'কে প্রতারণার ঢাল হিসেবে ব্যবহার করতো।  আমরা তদন্ত করে দেখেছি, তিনি আওয়ামী লীগের কোনও কমিটিতে ছিলেন না।’ সাহেদ প্রতারণার কাজে কখনও নিজেকে মেজর, কর্নেল, আওয়ামী নেতা বা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তা এমন নানা পরিচয় দিয়েছেন যা সত্য নয় বলে উল্লেখ করেন তথ্যমন্ত্রী। ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘দুর্নীতিবাজদের পরিচয়-বর্ণ যাই হোক, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তারই অংশ হিসেবে সাহেদ ও এমন আরও প্রতারকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

ইটালি থেকে বাংলাদেশি যাত্রীদের ফেরত পাঠানোর বিষয়ে বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভীর মন্তব্যের সমালোচনা করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, তার এ বক্তব্য বাংলাদেশ ও দেশের মানুষের বিরুদ্ধে।

সাহারা খাতুনের মৃত্যু অপূরণীয় ক্ষতি  

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান এ সময় প্রবীণ রাজনীতিক সাহারা খাতুনের মৃত্যুকে দেশের রাজনীতির জন্য অপূরণীয় ক্ষতি হিসেবে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সর্বজন শ্রদ্ধেয় অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অত্যন্ত বিশ্বস্ত সহকর্মী ছিলেন। ২০০৭ সালে শেখ হাসিনাকে কারাবন্দি করা হলে তার মুক্তির জন্য আইনি ও রাজনৈতিক লড়াইয়ে তিনি ওতপ্রোতভাবে ভূমিকা রাখেন। আওয়ামী লীগের সব দুঃসময়ে তিনি বিপদের মুখোমুখি দাঁড়িয়েছেন, অনেকবার কারাবরণ করেছেন। আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং দেশের রাজনীতিতে বণিকায়ণ ও দুর্বৃত্তায়নের বিরুদ্ধে সোচ্চার নেতা সাহারা খাতুনের মৃত্যু আওয়ামী লীগ তথা দেশের রাজনীতিতে এক অপূরণীয় ক্ষতি।’