তিনি জানান, ২০১৮ সালের নির্বাচনি ইশতেহারে সব বিভাগীয় শহরে মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হবে মর্মে সরকারের লক্ষ্য ও পরিকল্পনা গৃহীত হয়। সরকারের চলমান কার্যক্রমের অংশ হিসেবে খুলনায় শেখ হাসিনা মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা।
এবারই প্রথম প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনে মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব ড. আহমেদ কায়কাউস। মন্ত্রিপরিষদ সচিবসহ ৭ মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী ছিলেন সচিবালয়ে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, মন্ত্রিসভার বৈঠকে শেখ হাসিনা মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় আইন, খুলনা ২০২০'-এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসা শিক্ষায় উচ্চশিক্ষিত বিশেষজ্ঞ ও গবেষক তৈরি করতে স্নাতকোত্তর পর্যায়ের চিকিৎসা শিক্ষা, গবেষণা এবং স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনায় মেডিক্যাল কলেজসমূহের শিক্ষার মান সংরক্ষণ ও উন্নয়নই প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মুখ্য উদ্দেশ্য।
তিনি আরও জানান, প্রস্তাবিত খসড়া আইনটি এর আগে রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও সিলেট মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য প্রণীত আইনসমূহের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রণয়ন করা হয়েছে। আইনে মোট ৫৫টি ধারা হয়েছে। এ আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে বিধিমালা, প্রবিধানমালা ও সংবিধি প্রণয়নের বিধান রাখা হয়েছে।