নাগরিকের তথ্য যাচাইয়ে ইসির সহায়তা নেবে আরও ৮ প্রতিষ্ঠান

জাতীয় পরিচয়পত্রনাগরিকদের তথ্য যাচাইয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সহযোগিতা নেবে সরকারি-বেসরকারি আরও আটটি প্রতিষ্ঠান। ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয়পত্র অনুবিভাগ (এনআইডি উইং) প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে তারা চুক্তি সম্পাদন করেছে। সর্বশেষ ১২ জুলাই সরকারের ভূমি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এ নিয়ে ১৩৫টি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এনআইডি চুক্তি স্বাক্ষরিত হলো। এসব প্রতিষ্ঠান তাদের প্রয়োজনে এনআইডির সহায়তা নিয়ে নাগরিকদের শনাক্ত করছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) এনআইডি অনুবিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ব্যাংক, টেলিফোন অপারেটর, মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানসহ সরকারি-বেসরকারি আরও আটটি প্রতিষ্ঠানের সাথে e-kyc  বা ইলেকট্রোনিক্যালি নো ইয়োর ক্লায়েন্ট (electrically know your client) সেবা প্রদানে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে নির্বাচন কমিশন। চুক্তির অংশ হিসেবে এখন থেকে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের তথ্য ভান্ডারে রক্ষিত তথ্য যাচাই করতে পারবে এসব সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান। 

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী সর্বশেষ চুক্তিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে বাংলাদেশ ডেভলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেড, বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল), ইন্টার ক্লাউড লিমিটেড, বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি), রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক), প্রগতি সিস্টেমস লিমিটেড (সিওরক্যাশ), চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ও ভূমি মন্ত্রণালয়। এসব প্রতিষ্ঠানের চাহিদার ভিত্তিতে জাতীয় তথ্য ভান্ডারে সংরক্ষিত ব্যক্তির নাম, ঠিকানাসহ বিভিন্ন তথ্য যাচাই বাছাই শেষে সঠিক ব্যক্তিকে শনাক্ত করে দেবে নির্বাচন কমিশন। 

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে চুক্তির ফলে ভূমি বিরোধ, ভূমির মালিকানা শনাক্ত ও নামজারি করতে সহায়তাসহ এই সংক্রান্ত দীর্ঘদিনের জটিলতা নিরসনে সহায়ক হবে। এছাড়া চট্টগ্রাম বন্দরের সঙ্গে স্বাক্ষরিত চুক্তির ফলে আমদানি-রফতানির ক্ষেত্রে সঠিক আমাদানি ও রফতানিকারক,  সিএন্ডএফ এজেন্টসহ এই খাতে সংশ্লিষ্ট সঠিক ব্যক্তিকে চিহ্নিত করতে পারবেন। সঠিক ব্যক্তি চিহ্নিত করার ফলে চোরাচালান রোধ করা সম্ভব হবে এবং সরকারের রাজস্ব আয় বাড়বে।  অন্যদিকে এনআইডি যাচাইয়ের মাধ্যমে রাজউক রাজধানীতে ফ্ল্যাট ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে বিদ্যমান সমস্যার সমাধান হবে।  একইভাবে এনআইডি কার্ড যাচাই করে উপযুক্ত নাগরিককে সঠিক সেবা প্রদান এ সচেষ্ট হবে বিজিবি, শিওরক্যাশ, বিটিসিএলসহ অন্যান্য সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান।

২০১২ সালের ২৫ জানুয়ারি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সঙ্গে চুক্তি সম্পাদনের মাধ্যমে e-kyc সেবা চালু করে নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ।  বর্তমানে ব্যাংক, বীমা, মোবাইল অপারেটরসহ দেশের ১৩৫টি সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে এই সেবা দেওয়া হচ্ছে।