স্থানীয় সরকারমন্ত্রী নিশ্চিত করেছেন, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, ঢাকা ওয়াসা, রাজউক, মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ, বিআরটিএ, পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সভায় যোগ দেবে। সব পক্ষের মতামত নিয়ে রাজধানীসহ বিভিন্ন শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে দীর্ঘমেয়াদি ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নির্ধারণ করা হবে।
ঢাকা শহরের জলাবদ্ধতা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘উজান থেকে আসা পানির প্রবাহ বেশি থাকায় নদ-নদীর উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ কারণে ঢাকা নগরী থেকে স্লুইচ গেটের মাধ্যমে স্বাভাবিক বা প্রাকৃতিক উপায়ে পানি বের করা সম্ভব হচ্ছে না। এসব গেট খুলে দিলে নগরী থেকে পানি বের না হয়ে নদ-নদীর পানি ঢাকা শহরে প্রবেশ করবে। এতে জলাবদ্ধতা আরও বাড়বে। তাই শুধু পাম্পিং (কৃত্রিম পদ্ধতি) করে পানি বের করতে হচ্ছে।’
মন্ত্রী উল্লেখ করেন, নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে কমলাপুর, রামপুরা ও কল্যাণপুরে ঢাকা ওয়াসার তিন পাম্পিং স্টেশন থেকে ১৭টি পানির পাম্পসহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের অনেক পানির পাম্প দিয়ে শহর থেকে সেচের মাধ্যমে পানি বের করা হচ্ছে। প্রতিটি পাম্প দিয়ে প্রতি সেকেন্ডে পাঁচ হাজার লিটার পানি বের করা সম্ভব হচ্ছে, যা অতিমাত্রায় বর্ষণের ফলে জমে যাওয়া পানির তুলনায় অনেক কম। সেজন্য নগরীর বিভিন্ন জায়গায় সাময়িক জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে বলে মন্তব্য তার।
তাজুল ইসলাম মনে করেন, রাজধানীতে জলাবদ্ধতা নিরসনে ঢাকার সব জলাশয়ে পানির ধারণক্ষমতা ও প্রবাহ বৃদ্ধির পাশাপাশি আশপাশের নদ-নদীগুলো ড্রেজিং করে পানির ধারণক্ষমতা বৃদ্ধির বিকল্প নেই। তিনি জানান, এ নিয়ে তার মন্ত্রণালয় কাজ করছে।