স্বাস্থ্যের ডিজি আবুল কালাম আজাদের চুক্তি বাতিল

স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ
স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদের চুক্তি বাতিল করেছে সরকার। বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করে। এই আদেশের মধ্যদিয়ে ২১ জুলাই থেকে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকের পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ শেষ হলো।

চুক্তি বাতিলের আদেশে বলা হয়, অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে তার সঙ্গে সরকারের চুক্তি অনুযায়ী স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ ২১ জুলাই থেকে বাতিল করা হলো।

এর আগে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক পদে দুই বছরের চুক্তিতে নিয়োগ দেয় সরকার। করোনার সময় স্বাস্থ্য অধিদফতরের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দেয়। এ পর্যায়ে অধিদফতরের কর্মকাণ্ডে বিব্রত অবস্থায় পড়ে সরকার।

এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার (২১ জুলাই) দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিতে চুক্তি বাতিলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন আবুল কালাম আজাদ।

প্রসঙ্গত, করোনা নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরের কাজে সমন্বয়হীনতা শুরু থেকেই ছিল। সেটা প্রকাশ্যে আসে রিজেন্ট হাসপাতাল এবং নমুনা সংগ্রহকারী প্রতিষ্ঠান জেকেজির নজিরবিহীন দুর্নীতি, অনিয়ম ও প্রতারণার পর। সম্প্রতি কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল হিসেবে অধিদফতর থেকে রিজেন্টের অনুমোদন পাওয়া নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার পর স্বাস্থ্য অধিদফতর সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায়, ‘স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে চুক্তিটি করা হয়েছিল।’ এই বক্তব্যের পর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অধিদফতরের মহাপরিচালককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে তিন দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলেছিল। ওই সময়সীমার শেষ দিনে মন্ত্রণালয়ে গিয়ে সচিবের কাছে নোটিশের লিখিত জবাব দিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ। এর পরিপ্রেক্ষিতেই তিনি পদত্যাগ করেন। গত মার্চ মাসে করোনার প্রাদুর্ভাব শুরুর পর প্রথমে মাস্ক কেলেঙ্কারির পর থেকেই স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালকসহ নানা কর্তাব্যক্তিকে নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়। এরপর ধীরে ধীরে অনুমোদনহীন রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদফতরের চুক্তি, জেকেজির মতো প্রতিষ্ঠানের ভুয়া নমুনা পরীক্ষার পর প্রতিষ্ঠানটি তীব্র সমালোচনার সম্মুখীন হয়।