রবিবার (২৬ জুলাই) নিজ বাসভবন থেকে জুমের মাধ্যমে বাণিজ্যমন্ত্রী চামড়া ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান। ভার্চুয়াল এ বৈঠকে বাণিজ্য সচিব ড. জাফর উদ্দীনসহ চামড়া খাত শিল্পের উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ী, রফতানিকারক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধিরা সংযুক্ত ছিলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কোরবানির চামড়া পরিবহনে যেন কোনও সমস্যা না হয় সে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। চামড়া যাতে পাচার না হয় সেজন্য সীমান্ত এলাকায় তদারকি বাড়াতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। এছাড়া চামড়া সংরক্ষণে প্রয়োজনীয় লবণ সরবরাহের জন্য ব্যবস্থা নিয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়।’
এদিকে তিন দশক ধরে কাঁচা চামড়া রফতানির যে সুযোগ বন্ধ রয়েছে, সম্প্রতি তা খুলে দেওয়ার সুপারিশ করে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন বলেছে, এবার ঈদুল আজহায় পশুর কাঁচা চামড়া নষ্ট হয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করতে ন্যূনতম দাম নির্ধারণ করে রফতানির সুযোগ দেওয়া যেতে পারে।
প্রসঙ্গত, গতবছর কারবানির পশুর চামড়ার নজিরবিহীন দর বিপর্যয়ের পর কাঁচা চামড়া রফতানির সিদ্ধান্ত নিলেও শেষ পর্যন্ত তা বাস্তবায়ন করা যায়নি। তবে এবার যেন কিছুটা দাম পাওয়া যায়, সেজন্য কাঁচা চামড়া ও ওয়েট-ব্লু লেদার বা আংশিক প্রক্রিয়াজাত চামড়া রফতানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে এখনই রফতানির ঘোষণা দেওয়া হয়নি।