ভারতের দেওয়া অনুদানের ১০টি লোকোমোটিভ পেলো বাংলাদেশ

লোকোমোটিভ হস্তান্তর
ভারত সরকারের অনুদান হিসেবে দেওয়া ১০টি লোকোমোটিভ পেয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। সোমবার (২৭ জুলাই) দুপরে রেল ভবনের সম্মেলন কক্ষে এক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে লোকোমোটিভগুলো হস্তান্তর করা হয়। রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকর, ভারতীয় রেল, বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী পিয়ুস গয়াল বক্তব্য দেন।

লপথ মন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, অব্যাহত যাত্রীবাহী ট্রেনের চাহিদা বৃদ্ধির কারণে নতুন অনেকগুলো কোচ আমদানি করা হয়। পাশাপাশি ভারতীয় পণ্য পরিবহনের জন্য ভারত থেকে লোকোমোটিভ আনার বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করা হয়। ২০১৯ সালের আগস্ট মাসে সরকারিভাবে ভারত সফরের সময় উভয় দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে লোকোমোটিভ সরবরাহের বিষয়ে আলোচনা হয়।

এছাড়া একই সালের অক্টোবরে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে যৌথ বিবৃতির (প্যারা-২৭) আলোকে ভারতীয় রেলওয়ে বাংলাদেশ রেলওয়েকে ১০টি লোকোমোটিভ অনুদান হিসেবে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।

টেকনিক্যাল বিষয়ের শর্তাবলীসহ (রক্ষণাবেক্ষণ, পরিচালন) অন্যান্য বিষয়গুলো উভয় দেশের রেল কর্তৃপক্ষ যৌথভাবে নির্ধারণ করার পর সোমবার হস্তান্তরের তারিখ নির্ধারিত হয়। এটি বাংলাদেশের দর্শনা এবং ভারতের গেদে পয়েন্ট দ্বারা বাংলাদেশে প্রবেশ করে।

এ লোকোমোটিভগুলো পাওয়ার ফলে বাংলাদেশ রেলওয়ের ইঞ্জিন চাহিদা কিছুটা কমবে এবং পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে পশ্চিমাঞ্চলের মধ্যে অধিকসংখ্যক যাত্রীবাহী এবং মালবাহী ট্রেন চালানো সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, কানেক্টিভিটির মাধ্যমে উৎপাদন বৃদ্ধি পায় বলে আমরা বিশ্বাস করি এবং এ জন্য সরকার জলপথ, স্থলপথ, রেলপথ ও আকাশপথে কানেক্টিভিটি বাড়াচ্ছে।
এসময় ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকর বলেন, এটি খুশির বিষয় যে কোভিড-১৯-এর কারণে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের গতি কমে যায়নি।

এ সময় সংসদ সদস্য ও রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য আসাদুজ্জামান নূর, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম রেজা, রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. শাসমুজ্জামানসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।