অন্য জেলাগুলোর মধ্যে আগামী ২৪ ঘণ্টায় কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, বগুড়া, জামালপুর ও নওগাঁ জেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে। অন্যদিকে নাটোর, মানিকগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, ফরিদপুর, মাদারীপুর, চাঁদপুর, রাজবাড়ী, শরীয়তপুর, ঢাকা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নারায়ণগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ ও টাঙ্গাইল জেলার বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে। আজ দেশের ১৮টি নদীর ২৯টি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, ধরলা নদীর কুড়িগ্রাম পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। একইভাবে ব্রহ্মপুত্র নদীর নুনখাওয়া পয়েন্টে ২০, চিলমারী পয়েন্টে ৪৭, ঘাঘট নদীর গাইবান্ধা পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৫৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে যমুনা নদীর ফুলছড়ি পয়েন্টে ৭৯, বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে ৮৯, সারিয়াকান্দি পয়েন্টে ১০০, কাজিপুর পয়েন্টে ৮৪, সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে ৭৩, আরিচা পয়েন্টে ৮৬, আত্রাই নদীর বাঘাবাড়ি পয়েন্টে ১১২, আত্রাই পয়েন্টে ১৮, গুড় নদীর সিংড়া পয়েন্টে ৯১, ধলেশ্বরী নদীর জাগির পয়েন্টে ৯৮, এলাসিন পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ১১২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে এখন প্রবাহিত হচ্ছে। পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের জামালপুর পয়েন্টে ১৮, লাক্ষ্যা নদীর নারায়ণগঞ্জ পয়েন্টে ২, কালিগঙ্গা নদীর তারাঘাট পয়েন্টে ১১৬, বালু নদীর ডেমরা পয়েন্টে ৪, তুরাগ নদীর মিরপুর পয়েন্টে ৮, টঙ্গী খালের টঙ্গী পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে পদ্মা নদীর গোয়ালন্দ পয়েন্টে ১১৯, ভাগ্যকূল পয়েন্টে ৭৪, মাওয়া পয়েন্টে ৬৮ এবং সুরেশ্বর পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে পুরাতন সুরমা নদীর দিরাই পয়েন্টে ৫, তিতাস নদীর ব্রাহ্মণবাড়িয়া পয়েন্টে ৩০, মেঘনা নদীর চাঁদপুর পয়েন্টে ২৩, আড়িয়াল খাঁ নদীর মাদারীপুর পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ১৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের প্রতিদিনের প্রতিবেদনে জানানো হয়, বন্যাকবলিত ৩১টি জেলা হলো, রংপুর, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, সিরাজগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, বগুড়া, সিলেট, জামালপুর, রাজবাড়ী, মাদারীপুর, টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, ফরিদপুর, নেত্রকোনা, নওগাঁ, শরীয়তপুর, ঢাকা, মুন্সীগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুর, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, নাটোর, হবিগঞ্জ, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, গাজীপুর ও মৌলভীবাজার । এই ৩১ জেলার ১৫৩টি উপজেলার ৯০৮ ইউনিয়নের ৯ লাখ ৮৪ হাজার ৮১৯টি পরিবার এখন পানিবন্দি অবস্থায় আছে। পানিতে ডুবে মারা গেছে ৪১ জন।