বাংলাদেশ হোন্ডা প্রাইভেট লিমিটেডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠককালে শিল্পমন্ত্রী একথা জানান। ভার্চুয়াল মাধ্যমে মঙ্গলবার (২৮ জুলাই) এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হোন্ডা প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিমিহিকো কাতসুকি। বাংলাদেশে মোটরসাইকেল শিল্পের সম্ভাবনা ও সমস্যা নিয়ে বক্তব্য উপস্থাপনা করেন বাংলাদেশ হোন্ডা প্রাইভেট লিমিটেডের হেড অফ ফাইন্যান্স অ্যান্ড কমার্শিয়াল শাহ মুহাম্মদ আশেকুর রহমান।
এ সময় বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান রইছ উদ্দিন, পরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ আশিকুর রহমান, বাংলাদেশ হোন্ডা প্রাইভেট লিমিটেডের উপদেষ্টা ও সাবেক অতিরিক্ত সচিব জামাল আবু নাসের চৌধুরীসহ শিল্প মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনলাইনে যুক্ত ছিলেন।
বৈঠকে বাংলাদেশ হোন্ডা প্রাইভেট লিমিটেডের পক্ষ থেকে দেশে মোটরসাইকেল শিল্পের সম্ভাবনা এবং এই শিল্পের টেকসই বিকাশের পথে অন্তরায়গুলো তুলে ধরা হয়। বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতার উত্তরণ ঘটিয়ে উদীয়মান মোটরসাইকেল শিল্পের সম্ভাবনা কাজে লাগাতে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে কয়েকটি সুপারিশ তুলে ধরা হয়। এরমধ্যে মোটরসাইকেলের যৌক্তিক নিবন্ধন ফি নির্ধারণ, সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে শুল্ক ও কর নির্ধারণে টেকসই নিয়ম এবং প্রবিধান অনুসরণ, এই শিল্পের সুবিধার্থে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড জারিকৃত এসআরও ১৫৫ সংশোধন করে নতুন কিছু অত্যাবশ্যকীয় কাঁচামালে শুল্ক সুবিধা প্রদান, ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ ইন্ডাস্ট্রি রোডম্যাপ তৈরি এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সহায়তায় মোটরসাইকেল ক্রেতাদের জন্য রিটেইল ফাইন্যান্সিং চালু ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনের পাশাপাশি জনগণের ক্ষমতা দ্রুত বাড়ছে। ফলে গ্রাম-শহর নির্বিশেষে মোটরসাইকেলের চাহিদাও বাড়ছে। এই শিল্প খাতে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ছে। এ শিল্প খাতে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের নীতি সহায়তা অব্যাহত থাকবে।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে মোটরসাইকেল ইন্ডাস্ট্রি ডেভেলপমেন্ট পলিসি ২০১৮ প্রণয়ন করা হয়েছে। এর আওতায় উপমহাদেশের অন্যান্য দেশের সঙ্গে মিল রেখে নিবন্ধন ফি নির্ধারণের কাজ চলছে। দ্রুত এর সমাধান হবে।