বন্যার কারণে রাজশাহী জেলায় ১১ হাজার ২৩৫ জন, নাটোরে ৩০ হাজার ৫০০ জন, নওগাঁয় ১৮ হাজার ৯৬৮ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৪০০ জন, সিরাজগঞ্জে ৫ লাখ ৪ হাজার এবং বগুড়ায় ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯০ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
বন্যায় রাজশাহী জেলার ১১৫ বর্গ কিলোমিটার প্লাবিত হয়েছে। নাটোরের সিংড়া, নলডাঙ্গা ও গুরুদাসপুর উপজেলা, দুটি পৌরসভা ও ১৭টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। নওগাঁ সদর, জেলার মান্দা, আত্রাই, রাণীনগর, পোরশা, সাপাহার ও মহাদেবপুরসহ সাত উপজেলার ১৭টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। মান্দা, রাণীনগর ও আত্রাই উপজেলার বাঁধ ও স্লুইসগেট এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে।
এছাড়া সিরাজগঞ্জের কাজীপুর, সদর, বেলকুচি, চৌহালি, শাহজাদপুর, উল্লাপাড়া ও তাড়াশ উপজেলার মোট এক হাজার ২৮ কিলোমিটার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বগুড়ার নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের ১৬৭টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পাবনার বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। বিভাগের আট জেলার মধ্যে শুধু জয়পুরহাটে এখন পর্যন্ত বন্যা দেখা দেয়নি।
এদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মা নদীর তিন হাজার ৩০০ মিটার ও মহানন্দা নদীর এক হাজার ৭৫৪ মিটার বাঁধ অংশে ফাটল দেখা দিয়েছে। পদ্মা নদীর পানি এখন বিপদসীমার এক দশমিক ৬৪ মিটার, মহানন্দা নদীর পানি শূন্য দশমিক ৮৬ মিটার ও পূনর্ভবা নদীর পানি শূন্য দশমিক ৬১ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
তথ্য বিবরণীতে জানানো হয়, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারি ত্রাণ সহায়তা অব্যাহত রয়েছে। রাজশাহীতে ২০ মেট্রিক টন চাল ও এক লাখ ২০ হাজার টাকা নগদ সহায়তা দেওয়া হয়েছে। বিতরণ করা হয়েছে ৯৬০ প্যাকেট শুকনো খাবার। নাটোরে ৬৮ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ৪ লাখ ১৫ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে।