ইন্টারন্যাশনাল সিবেড অথরিটিতে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধির পরিচয়পত্র পেশ

জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমাইন্টারন্যাশনাল সিবেড অথরিটির মহাসচিব মাইকেল ডব্লিউ লজ এর কাছে পরিচয়পত্র পেশ করলেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। কোভিড-১৯ জনিত কারণে ভ্রমণ বিধি-নিষেধের ফলে ভার্চুয়াল আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে সম্প্রতি এই পরিচয়পত্র পেশ করা হয়।

বৃহস্পতিবার পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় পরিচয়পত্র পেশের সময় রাষ্ট্রদূত ফাতিমা ও মহাসচিব লজ এর মধ্যে বাংলাদেশ ও ইন্টারন্যাশনাল সিবেড অথরিটি (আইএসএ) এর মধ্যকার পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।

রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, বাংলাদেশ সবসময়ই ইন্টারন্যাশনাল সিবেড অথরিটির ভূমিকা, বিশেষ করে গভীর সমুদ্র তলদেশে অবস্থিত খনির সুফলের যথাযথ অংশিদারিত্ব নিশ্চিত করার জন্য নিয়ন্ত্রক কাঠামো তৈরির ক্ষেত্রে আইএসএ-এর যে ভূমিকা, তা গভীরভাবে মূল্যায়ন করে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনের উপায় হিসেবে সক্ষমতা বিনির্মাণ এবং প্রযুক্তি হস্তান্তরের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও আইএসএ এর মধ্যে আরও বেশি সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি। মহাসচিব লজ আইএসএ এর ম্যান্ডেট পূরণে বাংলাদেশের অবদানের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করেন।

ভবিষ্যতে কারিগরি ও রাজনৈতিক উভয় ক্ষেত্রে ইন্টারন্যাশনাল সিবেড অথরিটিতে বাংলাদেশ আরও নিবিড়ভাবে অংশগ্রহণ করবে মর্মে মহাসচিবকে নিশ্চয়তা দেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা।

বাংলাদেশসহ ১৬৭টি রাষ্ট্র নিয়ে জাতিসংঘের সমুদ্র বিষয়ক আইন সংক্রান্ত কনভেনশনের আওতায় গঠিত ইন্টারন্যাশনাল সিবেড অথরিটি একটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান। আইএসএ সমগ্র মানব জাতির কল্যাণ ও সুবিধার লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক গভীর সমুদ্র তলদেশে খনিজ সংক্রান্ত সব কর্মকাণ্ড সংগঠন, নিয়ন্ত্রণ ও নিয়ন্ত্রক কাঠামো বিনির্মাণের কাজ করে যাচ্ছে। জ্যামাইকার কিংস্টোনে এর সদরদফতর অবস্থিত।