ওবায়দুল কাদের সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ সভায় যুক্ত হন। এ সময় অনলাইন প্ল্যাটফর্মে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের বিদায়ী হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাস, সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
মিথ্যাচার বিএনপির রাজনৈতিক সংস্কৃতি অভিযোগ করে এ সময় ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘হত্যা, ষড়যন্ত্র ও সন্ত্রাস নির্ভরতা বিএনপির রাজনৈতিক ঐতিহ্য। সামনে কোনও ইস্যু পাচ্ছে না মিথ্যাচারের, তাই নন-ইস্যুকে তারা ইস্যু বানানোর অপপ্রয়াস চালাচ্ছে। প্রযুক্তির এ যুগে যখন সবকিছু উন্মুক্ত, তখন ৮২ হাজার রোগীর নাম গোপন করার উদ্ভট ও মনগড়া তথ্য বিএনপির দায়িত্বশীল নেতারা কোথায় পান, আমরা তা জানতে চাই। জনগণ তা জানতে চায়।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপিসহ অনেকেই বলেছিল, দেশে লাখ লাখ মানুষের মৃত্যু ঘটবে, রাস্তায় রাস্তায় মানুষ মরে পড়ে থাকবে, খাবার পাবে না, চিকিৎসা পাবে না। অথচ দেশে করোনা সংক্রমণের পাঁচ মাস অতিবাহিত হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী ও মানবিক নেতৃত্বে এবং আল্লাহর রহমতে এখনও তা হয়নি। তাই বিএনপির গা-জ্বালা করছে। দেশের ও জনগণের কল্যাণ তাদের অভিধান এবং চর্চায় নেই। মিথ্যাচারই এখন তাদের একমাত্র রাজনৈতিক পুঁজি।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট মেয়ে শেখ রেহেনাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন, ‘৭৫ পরবর্তী দুঃসময় ও সংকটে শেখ রেহেনা পর্দার অন্তরালে থেকে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের পাশে ছিলেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনার সহযোদ্ধা হিসেবে পর্দার অন্তরালে কাজ করেছেন। শেখ রেহেনা কখনও পাদপ্রদীপের আলোয় আসেননি।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জন্মদিনে শেখ রেহানার দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা করেন।