পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অনিয়ম করলে ছাড় নেই: ইউজিসি

১১১

অনিয়ম করলে দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ।

মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টম্বর) দেশের ১৮টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ২০২০-২০২১ অর্থবছরের জন্য বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।

অনুষ্ঠানে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারদের আইন ও নিয়মের মধ্যে কাজ করার আহ্বান জানান চেয়ারম্যান।

ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন-কানুন যথাযথভাবে পালন হচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে হবে।  আইনের বাইরে যাওয়ার কোনও সুযোগ নেই। নিয়মের মধ্যে থেকেই সব কাজ করতে হবে। যেকোনও ধরনের অনিয়মে ইউজিসি ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করবে।’

ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে দেওয়া বক্তব্যে চেয়ারম্যান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা রকম চাপ থাকে। চাপে নত হয়ে যদি কেউ আইন অমান্য করেন বা অনিয়ম করেন, তাহলে তিনি ছাড় পাবেন না। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ তিনি উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারদের বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ, পদোন্নতি, আর্থিকসহ বিভিন্ন বিষয়ে বিদ্যমান আইন ও নিয়ম মেনে কাজ সম্পাদন করার অনুরোধ জানান।

করোনার পরে প্রয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ে অডিট পরিচালনা

ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ  বলেন, ‘করোনা পরবর্তীতে প্রয়োজনে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অডিট পরিচালনা করা হবে। এতে কোনও ধরনের আর্থিক বিশৃঙ্খলা বা অনিয়ম ধরা পড়লে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

উপাচার্যদের আইনসম্মতভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘মেয়াদের শেষ সময়ে আপনারা নিয়োগসহ বিভিন্ন বিষয়ে সচেতন থাকবেন। আপনাদের কাজের কারণে নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্যরা যেন কোনও ধরনের বিপদে না পড়েন, সেদিকে খেয়াল রাখবেন। নিয়মের ভিত্তিতেই আপনারা প্রশাসনিক ও অ্যাকাডেমিক পরিবেশ ভালো করার চেষ্টা করবেন।  সরকারের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা পূরণ ও টেকসই উন্নয়নের জন্য গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত করতে হলে অবশ্যই আইন ও বিধি মেনে চলা প্রয়োজন। ’

সভায় বক্তারা দেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে ৫-৬টি বিশ্ববিদ্যালয় যেন বিশ্ব র‌্যাংকিং-এ স্থান করে নিতে পারে, সে লক্ষ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।

সরকারি কর্মসম্পাদন ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির আওতায় ইউজিসি ৪৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে এপিএ চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। সরকারি কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা আনা, সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতকরণ এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা উন্নয়নের লক্ষ্যে এপিএ প্রবর্তন করা হয়।

অনুষ্ঠানে ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. দিল আফরোজা বেগম, অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর, অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ এবং অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিশনের সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. ফেরদৌস জামান। ইউজিসি’র পক্ষে তিনি এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর রেজিস্ট্রাররা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।