রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে অসত্য বক্তব্য দেওয়া আতর আলী বরখাস্ত

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদরাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদকে নিয়ে অসত্য বক্তব্য দেওয়ায় সংসদ সচিবালয়ের কর্মচারী মো. আতর আলীকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সংসদের চতুর্থ শ্রেণির কর্মকর্তা সমিতির সাবেক এই সভাপতির সংসদে প্রবেশের পরিচয়পত্রও জব্দ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সংসদ সচিবালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এর আগে ১৩ সেপ্টেম্বর চিঠি দিয়ে সংসদের ডেপুটি সার্জেন্ট অ্যাট আর্মস অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপারেশন্স) এস এম সিরাজুল হুদা আতর আলীকে পরিচয়পত্র জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন। আতর আলী লোক মারফত পরিচয়পত্র (আইডি কার্ড নং-৬৫৬৭) বুধবার জমা দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে আতর আলী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমাকে সাময়িক বরখাস্তের চিঠি দেওয়া হয়েছে। এর আগে আমাকে কারণ দর্শানোর সঙ্গে আবারও  কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে। আগামী সপ্তাহে এর জবাব দেবো।’

রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে তার দেওয়া বক্তব্য সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমি এক ধরনের কথা বলেছি। কিন্তু তারা আরেক রকম মানে ধরা হয়েছে। তারপরও আমি ভুল করে থাকলে ক্ষমা চাইছি।’

জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ১৭ আগস্ট অনুষ্ঠিত সংসদ সচিবালয়ের অনুষ্ঠানে সরকারি কর্মচারী হয়েও রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ব্যক্তি রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে অসত্য বক্তব্য দেওয়ায় আতর আলীকে প্রথমে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। পরে তাকে সংসদ এলাকায় নিষিদ্ধ করা হয়।’

শোক দিবসের অনুষ্ঠানে কর্মচারীদের পক্ষ থেকে আতর আলী সেখানে তার বক্তব্যে বলেন, বর্তমান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ স্পিকার থাকার সময় ‘এ ধরনের অনুষ্ঠান হয়নি’।

স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী ভার্চুয়ালি ওই অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত ৬ সেপ্টেম্বর সংসদের সিনিয়র সহকারী সচিব মোহাম্মদ খালেদুর রহমান স্বাক্ষরিত চিঠিতে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয় আতর আলীকে।

চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী সমিতির সাবেক সভাপতি আতর আলী সংসদ সচিবালয়ে সংসদ নেতার দফতরে কর্মরত ছিলেন। চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী হলেও আতর আলী সংসদ সচিবালয়ে খুবই প্রভাবশালী বলে জানা গেছে।