সিলেট ও খাগড়াছড়িতে ধর্ষণের ঘটনায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নিন্দা

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনসিলেটের এমসি কলেজে তরুণীকে এবং খাগড়াছড়িতে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী তরুণীকে  সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগম। শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ নিন্দা জানান তিনি।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা ফারহানা সাঈদ স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনারের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায়, শুক্রবার ওই তরুণী তার স্বামীর সঙ্গে এমসি কলেজে ঘুরতে আসলে ছয়-সাত জন যুবক তাকে এমসি কলেজ ছাত্রাবাস এলাকায় ধর্ষণ করে। এসময় তার স্বামী প্রতিবাদ করলে তাকে মারধর করে আটকে রাখা হয়। আসামিদের কেউ এখনও গ্রেফতার হয়নি।
অন্যদিকে খাগড়াছড়িতে ধর্ষণের শিকার তরুণীর মায়ের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায়, বুধবার রাতে নয়জন ডাকাত ঘরে ঢুকে তার বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মেয়েকে অস্ত্রের মুখে ধর্ষণ করে এবং ঘরের জিনিস লুটপাট করে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত আসামিদের মধ্যে ইতোমধ্যে সাতজন গ্রেফতার হয়েছে বলে গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়।
বিবৃতিতে বলা হয়, কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগম মনে করেন একের পর এক নারীর প্রতি নির্যাতন ও ধর্ষণের ঘটনা অত্যন্ত জঘন্য ও ঘৃণ্যতম ঘটনা। যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। নারীর মানবাধিকার সুরক্ষিত করার লক্ষ্যে ধর্ষণের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়ন করা আবশ্যক। ধর্ষক যেই হোক না কেন তাকে আইনের আওতায় এনে দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করতে হবে।