বিজয় দিবসের আগেই রাজাকারের আংশিক তালিকা প্রকাশ

সংসদীয় কমিটির বৈঠক

আগামী বিজয় দিবসের আগেই রাজাকারদের আংশিক তালিকা প্রকাশ করার উদ্যোগের কথা জানিয়েছে এ সংক্রান্ত সংসদীয় উপকমিটি। এ লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির উপকমিটি এরইমধ্যে কাজ শুরু করেছে।

রবিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সংসদীয় কমিটির বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি ও ওই উপকমিটির আহ্বায়ক শাজাহান খান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা এরইমধ্যে কাজ শুরু করেছি। ৭-১০ দিনের মধ্যে একটা মিটিং করবো। কিছু তালিকা আমরা সংগ্রহ করেছি। আশা করছি, আগামী ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যেই আংশিক তালিকা প্রকাশ করবো। পর্যায়ক্রমে আমরা পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করবো।’

এর আগে গত ৯ আগস্ট রাজাকারের তালিকা তৈরি করতে ছয় সদস্যের উপকমিটি গঠন করে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি।

গত বছর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে তথ্য নিয়ে স্বাধীনতাবিরোধীদের ‘বিতর্কিত’ তালিকা প্রকাশের পর ব্যাপক সমালোচনার মুখে তা বাতিল করে সরকার।

এ বছর জানুয়ারি মাসে সংসদে এ নিয়ে সমালোচনার মুখেও পড়তে হয় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হককে। খোদ সরকারি দলের সদস্যরাই এ নিয়ে মন্ত্রীর সমালোচনায় মুখর হয়েছিলেন। পরে ওই তালিকা প্রত্যাহার করে সে সময় মন্ত্রী নতুন করে তালিকা তৈরির কথাও জানান।

উপকমিটি গঠনের পর আহ্বায়ক শাজাহান খান জানিয়েছিলেন, তারা সংসদ সদস্যদের মধ্যে যারা মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযোদ্ধার সন্তান আছেন, তাদের নিয়ে কাজ করবেন। আর তথ্য নেওয়া হবে যুদ্ধকালীন কমান্ডার এবং উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড থেকে।

মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের এমডির বিরুদ্ধে তদন্ত

সংসদীয় কমিটির বৈঠকে মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের অনিয়ম তদন্তে সংসদীয় সাব-কমিটি গঠন করা হয়েছে। শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠন এবং একজন মুক্তিযোদ্ধার পৃথক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়ে এ সাব-কমিটি গঠন করা হয়।

কমিটির সভাপতি শাহাজাহান খানকে আহ্বায়ক করে গঠিত সাব-কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন—কাজী ফিরোজ রশীদ ও মোসলেম উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী।

সংসদীয় কমিটির বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, খেতাবপ্রাপ্ত শহীদ ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীয় কমান্ড এবং বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সদ্য সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ওসমান গণি কমিটির কাছে লিখিত আবেদন করে মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের এমডি মো. ইফতেখারুল ইসলাম খানের বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। চিঠিতে তারা এমডির বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতাসহ নানা দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন।

এ বিষয়ে কমিটির সভাপতি শাজাহান খান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘কল্যাণ ট্রাস্টের এমডির অনিয়মের বিরুদ্ধে আমরা দুটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টির জন্য কার্যপ্রণালী বিধি অনুযায়ী আমরা সাব-কমিটি করে দিয়েছি। কমিটি বিষয়টি তদন্ত করে দুই মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দেবে।