বাংলাদেশের জন্য কুয়েতের আমিরের অবদান অপরিসীম: প্রধানমন্ত্রী

শেখ-হাসিনাপ্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কুয়েতের আমির শেখ সাবাহ আল-আহমদ আল-জাবের আল-সাবাহর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। বুধবার এক শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ ও সরকার এবং আমার ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে আমি কুয়েতের আমির শেখ সাবাহ আল-আহমদ আল-জাবের আল-সাবাহর মৃত্যু সংবাদ জানতে পেরে গভীরভাবে শোকাহত হয়েছি।’

শেখ হাসিনা কুয়েতের ভ্রাতৃপ্রতিম জনগণের প্রতি গভীর সমবেদনা এবং মরহুমের পরিবারের শোকসন্তপ্ত সদস্যদের প্রতি আন্তরিক সহানুভূতি প্রকাশ করেন।

প্রধানমন্ত্রী আবেগের সঙ্গে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের প্রাথমিক দিনগুলোতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও কুয়েতের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী (প্রয়াত আমিরের) মধ্যে আস্থা ও ভ্রাতৃত্বের সম্পর্কের কথা স্মরণ করেন।

তিনি বলেন, তার চমৎকার আলোচনার দক্ষতা এবং সর্বজনীন গ্রহণযোগ্যতার কারণে জাতির পিতা একটি সার্বভৌম স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে বিশেষত মুসলিম উম্মাহর কাছ থেকে বাংলাদেশের পক্ষে স্বীকৃতি অর্জন করতে সক্ষম হন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘কুয়েতে বাংলাদেশি প্রবাসীদের কল্যাণে আমি তার অবদান গভীর কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কুয়েতের আমিরের নেতৃত্বে উপসাগরীয় সহযোগিতা কাউন্সিল গঠন করা হয়। এছাড়া উপসাগরীয় অঞ্চল এবং এর বাইরে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে তার অবদানকে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে মনে রাখবে। বিশেষ করে বাংলাদেশের মানুষের কাছে তিনি চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন

তিনি বলেন, ‘আমরা কুয়েত এবং এর জনগণের জন্য তার আত্মনিবেদিত সেবার কথা স্মরণ করি।’

প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত আমিরের বিদেহী আত্মার শাশ্বত শান্তি ও জান্নাতে তার উচ্চতম স্থানের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করেন।

তিনি বলেন, সর্বশক্তিমান আল্লাহ আমিরের সম্মানিত পরিবারের শোকাহত সদস্য এবং কুয়েতের ভ্রাতৃপ্রতিম জনগণকে এই অপূরণীয় ক্ষতি সহ্য করার জন্য সাহস ও শক্তি দান করুন।

উল্লেখ্য, শেখ সাবাহ মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টায় (বাংলাদেশ সময়) যুক্তরাষ্ট্রের একটি হাসপাতালে মারা যান।