যে প্রক্রিয়ায় হচ্ছে পুলিশের বিভাগীয় পদোন্নতি পরীক্ষা

বাংলাদেশ পুলিশবাংলাদেশ পুলিশের অধস্তন কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের ২০২০ সনের বিভাগীয় পদোন্নতি বহু নির্বাচনি (এমসিকিউ) পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করেছে পুলিশ হেড কোয়ার্টার্স। মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) বাংলাদেশ পুলিশের ওয়েবসাইটে এই ফলাফল প্রকাশ করা হয়। গত ২ অক্টোবর নতুন পদ্ধতিতে সারাদে‌শে এক‌যো‌গে এমসিকিউ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এই পদোন্নতি পরীক্ষা প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানিয়েছে পুলিশ সদর দফতর।

পুলিশ সদর দফতরের এআইজি সোহেল রানা স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় , পদোন্নতি প্রক্রিয়ায় কোনও বিচ্যুতি ও সীমাবদ্ধতার কারণে অযোগ্য লোক পদোন্নতি পেলে যোগ্য লোক কাজে উৎসাহ হারায়, সেবার মান কমে যায়। অধস্তন পু‌লিশ কর্মকর্তা ও সদস্য‌দের জন্য ব্রিটিশ আমল থেকে চলমান বিদ্যমান পদোন্নতি পরীক্ষায় বেশ কিছু সীমাবদ্ধতা ছিল। প্রচলিত এই পদ্ধতিতে ইউনিটভিত্তিক পরীক্ষা গ্রহণ করা হতো। ইউনিট অনুসারে ভিন্ন ভিন্ন সংখ্যক শূন্যপদের বিপরীতে পরীক্ষার মাধ্যমে ইউনিটভি‌ত্তিক পদোন্নতি দেওয়া হতো ।
এতে আরও বলা হয়, নানা কারণে কোনও ইউনিটে কম, কোন ইউনিটে বেশি সংখ্যক শূন্যপদ থাকতো। কোনও সদস্যের মৃত্যু হলে বা বদলিজনিত কারণে অবসর গ্রহণের ফ‌লে নতুন নতুন পদ শূন্য হতো, নতুন ইউনিট সৃষ্টির কারণেও হত পার্থক্য । প্রার্থীর সংখ্যা হেরফেরের কারণে পদোন্নতির সুযোগ সবার জন্য সমান ছিল না। এছাড়া ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করা, অবৈধ আর্থিক লেন‌দেন ইত্যাদি নানা প্রভাবকের কারণে প‌দোন্ন‌তি‌তে সুবিচার ব‌ঞ্চিত হওয়ার সু‌যোগ ছিল। এসব নানা কারণে পুলিশের অধস্তন সদস্যদের মধ্যে ছিল হতাশা ও অভিযোগ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এসব বিষয় ভাবনায় নিয়ে আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ এর নির্দেশে অভ্যন্তরীণ সেবা সহজীকরণ ও প্রাতিষ্ঠানিক পেশাদারিত্বের ভিত্তিতে উত্তরণের উপায় হিসেবে নতুন একটি পরীক্ষা চালু করা হয়েছে। এই পদ্ধতিতে অধস্তন কর্মকর্তা ও সদস্য‌দের প‌দোন্ন‌তি পরীক্ষা হবে পুলিশ হেড কোয়ার্টার্স কর্তৃক কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রিত । এরই ম‌ধ্যে সকল ইউনিটের পদোন্নতি পরীক্ষার্থীগণ এই প্রথমবারের মতো সারা‌দে‌শে একই সময়ে, একই প্রশ্নে পরীক্ষা দিয়েছেন। এবারই প্রথম এমসিকিউ প্রশ্ন পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীরা লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন। উভয় পরীক্ষার ক্ষেত্রে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স কর্তৃক প্রেরিত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা প্রতি ইউনিটে উপস্থিত থেকে পরীক্ষার মান নিয়ন্ত্রণে যথাযথ ভূমিকা রেখেছেন ও রাখবেন। পরীক্ষার উত্তরপত্র পুলিশ হেড কোয়ার্টার্সে বিশেষ নিরাপত্তার মাধ্যমে প্রেরিত হয়েছে। মানুষ নয়, কম্পিউটারের মাধ্যমে উত্তরপত্র মূল্যায়ন করা হয়েছে । লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে পুলিশের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোতে। স্বচ্ছতা, যোগ্যতা এবং মেধার যথাযথ মূল্যায়নের জন্য সর্বক্ষেত্রেই উপস্থিত থাকবেন পুলিশ হেড‌ কোয়ার্টা‌র্স ও রেঞ্জ ডিআই‌জি কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা । ন্যায্যতা ও সমমানের মূল্যায়ন নিশ্চিতের জন্য সবশেষে ভাইবা গ্রহণ করা হবে কেন্দ্রীয়ভাবে। কেন্দ্রীয়ভাবে ফলাফলের তালিকা প্রস্তুত করে তা থেকে শূন্যপদ পূরণ করা হবে।