কেন্দ্র থেকে এজেন্ট বের করে দেওয়ার অভিযোগ সালাহউদ্দিনের

সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন বিএনপি প্রার্থী



ঢাকা-৫ আসনের উপনির্বাচনের বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে ধানের শীষের পোলিং এজেন্টকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ করেছেন বিএনপির প্রার্থী সালাহউদ্দিন আহমেদ। তার দাবি, ‘সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্যমতে ১৪ ওয়ার্ডের অধিকাংশ ভোটকেন্দ্র থেকে ধানের শীষের এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে। আমি কেন্দ্র পরিদর্শন করেও আমাদের কোনও এজেন্ট পাইনি।’

শনিবার (১৭ অক্টোবর) যাত্রাবাড়ী আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শনে এসে এসব অভিযোগ করেন সালাহউদ্দিন আহমেদ। সকালে প্রায় ২০ মিনিট বিভিন্ন ভোটকক্ষে ঘুরে দেখেন তিনি। 
সালাহউদ্দিনের অভিযোগ, আওয়ামী সন্ত্রাসীরা পুরো এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে ভোটারদের কেন্দ্রে আসতে বাধা দিচ্ছে। মানুষ ভোট দেওয়া অপেক্ষায় থাকলেও সন্ত্রাসীরা ঘরে ঘরে গিয়ে হুমকি দিয়ে আসছে যাতে কেন্দ্রে না আসে। এরপরও কীভাবে ভোট সম্পন্ন হবে তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন তিনি।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা দায়িত্ব পালন করছেন বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘কেন্দ্র থেকে আমাদের পোলিং এজেন্টটদের বের করে দেওয়ার বিষয়টি জানানো হলেও প্রশাসন ও নির্বাচনের দায়িত্বপালন করা ম্যাজিস্ট্রেটরা কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। তারা নীরব ভূমিকা পালন করছেন।’ 

বিএনপি প্রার্থী
তিনি আরও বলেন, সরকার প্রথম থেকেই যেকোনও নির্বাচনে কারচুপির চেষ্টায় লিপ্ত ছিল। এখনও তাই করছে। এই সরকার ও নির্বাচন কমিশন কারচুপি ছাড়া কিছু উপহার দিতে পারেনি। এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে, এখান থেকেই সরকার ও নির্বাচন কমিশনের পতনের আন্দোলন শুরু করার হুঁশিয়ারি দেন।
শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘অবশ্যই আমরা শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকবো। আওয়ামী সন্ত্রাসীরা শেষ পর্যন্ত কী করতে পারে তা দেখতে চাই।’
ভোট দিতে না পারার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘একাদশ জাতীয় নির্বাচনে দল থেকে ঢাকা-৪ আসনে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল। একারণে ঢাকা-৫ থেকে ভোটার পরিবর্তন করে ঢাকা -৪ এ নিয়ে যাই। এবার ঢাকা-৫ থেকে মনোনয়ন পাওয়ার পর ভোট স্থানান্তরে আবেদন করেছিলাম। কিন্তু নির্বাচন কমিশন সে সুযোগ দেয়নি।’

সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন বিএনপি প্রার্থী

আওয়ামী লীগের প্রার্থীর ভোট দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আপনারা কি কেউ তাকে ভোট দিতে দেখেছেন? তার এখানে ভোট দেওয়ার বিষয়টি হাস্যকর। কারণ তিনিও আমার মতো ঢাকা-৪ আসনের ভোটার।’
প্রসঙ্গত, একাদশ সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৫ আসনে বিএনপির ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন ঢাকা মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি নবী উল্লাহ নবী। কিন্তু উপনির্বাচনে বিএনপি তাকে মনোনয়ন দেয়নি। 
ঢাকা-৫ আসন উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন কাজী মনিরুল ইসলাম মনু। আর জাতীয় পার্টির প্রার্থী মীর আবদুস সবুর আসুদ, গণফ্রন্টের এইচ এম ইব্রাহিম ভূঁইয়া, বাংলাদেশ কংগ্রেসের আনছার রহমান শিকদার ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আরিফুর রহমান।
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান মোল্লা গত ৬ মে মারা যাওয়ায় ঢাকা-৫ আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়।