মন্ত্রী জানান, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পয়োবর্জ্য ব্যবস্থাপনায় উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। বাংলাদেশেও উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করার বিষয়টি পর্যালোচনা করা হচ্ছে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং একটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন দেশ গড়তে সব ধরনের সুবিধা-অসুবিধা বিবেচনায় নিয়ে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি আনা হবে বলে জানান তিনি।
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘পয়োবর্জ্য, কঠিন বর্জ্যসহ অন্য সব ধরনের বর্জ্য এমনভাবে ব্যবস্থাপনা করতে হবে যাতে পরিবেশ দূষিত না হয়। মানুষের স্বাস্থ্যের হানি না ঘটে। এজন্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, পরিবেশবান্ধব বাংলাদেশ গড়তে যত ধরনের লজিস্টিক সাপোর্ট দরকার সরকার তার ব্যবস্থা করবে।’
এ সময় মন্ত্রী মেয়রদের কাছ থেকে দেশের পৌরসভাগুলোর সমস্যার কথা শোনেন এবং তা সমাধানের আশ্বাস দেন। একই সঙ্গে তিনি পৌরসভাগুলোর নিজস্ব আয় বৃদ্ধির উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ অত্যন্ত ঘনবসতি হওয়ায় পয়োবর্জ্যের পরিমাণ অনেক বেশি। তার পরেও খোলা স্থানে পয়োবর্জ্য ব্যবস্থাপনায় দেশে অনেক উন্নতি হয়েছে। শুধু সিটি করপোরেশন অথবা পৌরসভায় নয় এই পয়োবর্জ্য ব্যবস্থাপনা গ্রামে পর্যায়েও করতে হবে। দেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ করতে হলে শুধু অর্থনৈতিক সূচক পূরণ করলেই হবে না। স্বাস্থ্য, পরিবেশসহ অন্যান্য যে প্যারামিটার আছে সেগুলোতেও গুরুত্ব দিতে হবে অর্থাৎ সামগ্রিক উন্নয়ন করতে হবে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ তৈরি করতে সব ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এগিয়ে যেতে হবে।’
স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী এবং ৫০টি পৌরসভার মেয়র ও প্রকৌশলীরা এ অনলাইন কর্মশালায় অংশ নেন।