তিনি বলেন, আমাদের কমিটিতে কয়েকজন সদস্য আছেন বয়োজ্যেষ্ঠ। অনেকেই বয়সের কারণে বৈঠকে আসতে পারেন না। আবার অনেকে এই করোনার কারণে আসতে পারছে না। তারা যদি ভার্চুয়ালি অংশ নিতে পারেন তাহলে সংসদীয় কমিটিতে আলোচনা প্রাণবন্ত হবে। আমরা স্পিকারের কাছে প্রস্তাবটি পাঠাব। তিনি যে সিদ্ধান্ত দেবেন সেটাই হবে।
সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রবিবার সংসদীয় কমিটির বৈঠকে তিনজন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। সংসদীয় কমিটিতে তিনজন হলেই কোরাম হয়। সদস্য সংখ্যা কম হওয়ায় কয়েকটি আলোচ্যসূচি নিয়ে বৈঠকে আলোচনা করা যায়নি।
সংসদের কার্যপ্রণালী বিধি অনুযায়ী সংসদ ভবনের বাইরে যেকোনও স্থানে সংসদীয় কমিটির বৈঠক করা যায়। সেজন্য স্পিকারের পূর্বানুমোদন প্রয়োজন হয়। কার্যপ্রণালী বিধিতে বলা আছে সংসদীয় কমিটির বৈঠক হবে সংসদের সীমার মধ্যে। তবে এর বাইরে বৈঠক করতে হলে স্পিকারকে জানাতে হবে। এক্ষেত্রে স্পিকারের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত। বিভিন্ন সময় অনেক সংসদীয় কমিটি তাদের এখতিয়ারের ভেতরে থাকা কাজের জন্য সংসদ ভবনের বাইরে এবং ঢাকার বাইরেও বৈঠক করেছে।
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে মন্ত্রিসভা থেকে শুরু করে সরকারের অনেক কর্মসূচিতে ভার্চুয়ালি অংশ নিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীও বিভিন্ন কর্মসূচিতে ভার্চুয়ালি অংশ নিচ্ছেন। এপ্রিল মাসে ওই অধিবেশনের আগে ভার্চুয়াল সংসদ অধিবেশন নিয়ে সংসদের কিছু মহলে আলোচনা ওঠে। এ নিয়ে গণমাধ্যমেও খবর প্রকাশিত হয়।