আলু-পেঁয়াজের বাজার মনিটরিং করবে সরকার

কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক

সরকার নির্ধারিত ৩৫ টাকা দরে আলু বিক্রি হচ্ছে কিনা তা যাচাইয়ে বাজার মনিটরিং করা হবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক। একইসঙ্গে সরকার নির্ধারিত পেঁয়াজের দর কার্যকর হচ্ছে কিনা তাও মনিটরিং করা হবে।  

বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা জানান তিনি।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘দুই-একদিনের মধ্যেই বাজার মনিটরিং আরও জোরদার করা হবে। ব্যবসায়ীরা সরকার নির্ধারিত দাম নিয়ে খুশি মনে বাড়ি ফিরেছেন। তারা নিজেরা বলেছেন, এই দাম বাস্তবায়ন না করলে মুনাফাখোর হিসেবে বিবেচিত হবে। তারা আপ্রাণ চেষ্টা করবে আমাদের সহযোগিতা করতে। আর বৃহস্পতিবার থেকেই বা দুই-একদিনের মধ্যেই আমরা বাজার মনিটরিং আরও জোরদার করবো।’

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘অনেক বছরই আলুর দাম ৩০-৩৫ টাকা হয়। এটা হলে মানুষ তেমন কিছু মনে করবে না। কিন্তু যদি ৫০-৬০ টাকা হয়ে যায় তাহলে কোনোক্রমেই গ্রহণযোগ্য নয়।  সরকার নির্ধারিত ৩৫ টাকা যাতে কার্যকর হয় সেজন্য আমরা চেষ্টা করবো।  এক মাসের মধ্যেই দাম কমে আসবে।’

তিনি বলেন, ‘আলুর পাশাপাশি নির্ধারিত দামে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কিনা দুই-একদিনের মধ্যেই তাও মনিটরিং  জোরদার করা হবে।’

ভারতের সঙ্গে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানতে চাইলে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘কৃষিতে ভারত অনেক ক্ষেত্রেই বাংলাদেশ থেকে এগিয়ে। আমরা সহযোগিতা নেবো। আমাদের কৃষি খাতে সহযোগিতার অনেক সুযোগ রয়েছে। তারা সেটা জানতে চেয়েছে। বর্তমানে আমাদের অর্থনীতিতে বা জিডিপিতে কৃষির গুরুত্ব কম থাকলেও খাদ্য নিরাপত্তার জন্য ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাঁচামালের জোগানের জন্য কৃষি সবসময় গুরুত্বপূর্ণ। ভারত কোনও কোনও বিষয়ে টেকনোলজিতে আমাদের থেকে এগিয়ে আছে। যেমন তুলা বিটি কটনে তারা আমাদের থেকে এগিয়ে আছে। আমরা চাচ্ছি এই বিটি কটন আমাদের দেশে আনতে। এটা এদেশের আবহাওয়ার জন্য ভালো। এছাড়া ভুট্টাসহ অনেক ফসলের ভালো জাত ভারত থেকে আনার সুযোগ রয়েছে।’

পেঁয়াজের বিষয়ে জানতে চাইলে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘এখন আবহাওয়া ভালো হচ্ছে। আশা করছি, আবার পেঁয়াজ রফতানি শুরু করা হবে। আর আমাদের এলসি করা ২০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজের বিষয়ে ক্লিয়ার করেছে। সবকিছু ঠিক থাকলে যেকোনও সময় ভারত দিতে চেষ্টা করবে।’