আন্তর্জাতিক আদালতে গাম্বিয়াকে সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে মিসরের প্রতি আহ্বান

মিশরের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত ওয়ালিদ আহমেদ সামসেলদিনের (বাঁয়ে) সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনওআইসির নেতৃস্থানীয় দেশ হিসেবে আন্তর্জাতিক আদালতে রোহিঙ্গা বিষয়ে গাম্বিয়াকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে মিসরের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। রবিবার (২৫ অক্টোবর) মিসরের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত ওয়ালিদ আহমেদ সামসেলদিনের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ আহ্বান জানান তিনি।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে মিসরের সমর্থন অব্যাহত থাকবে বলে সে দেশের রাষ্ট্রদূত নিশ্চিত করেন।

রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলাপকালে বাংলাদেশ ও মিসরের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যিক সহযোগিতা বাড়ানো এবং এক্ষেত্রে দু’দেশের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন ড. মোমেন। তিনি মিসরকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের আহ্বান জানান। এছাড়া তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ বাংলাদেশিদের মিসর কাজে লাগাতে পারবে বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী উল্লেখ করেন।

ড. মোমেন বাংলাদেশে পেট্রো-কেমিক্যাল শিল্প স্থাপনের অনুরোধ করলে এ বিষয়ে মিসর আগ্রহী বলে রাষ্ট্রদূত জানান।

এ সময় মিসরের রাষ্ট্রদূত জানান, ‘সে দেশের আলেকজান্দ্রিয়া অর্থনৈতিক অঞ্চলে বাংলাদেশের দুজন বিনিয়োগকারী বিনিয়োগ করেছেন।’ মিসরের পেঁয়াজ বাংলাদেশে রফতানি করা হচ্ছে বলে ওয়ালিদ আহমেদ সামসেলদিন উল্লেখ করেন।

এ সময় দু’দেশের ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলের সফর বিনিময়ের ওপরও গুরুত্বারোপ করা হয়।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালে মিসর সফর করেছিলেন উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ভ্রাতৃপ্রতিম দু’দেশের সম্পর্ক ঐতিহাসিক। মিসরে অনেক বাংলাদেশি ছাত্রের লেখাপড়ার সুযোগ আছে।’ ঢাকায় আগামী ডি-৮ সম্মেলনে মিসরের রাষ্ট্রপতি অংশগ্রহণ করবেন বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন।