পোল্ট্রি ও ডেইরি শিল্প সুরক্ষায় নীতিমালা হচ্ছে: শ ম রেজাউল করিম

গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমপোল্ট্রি ও ডেইরি শিল্পের সুরক্ষায় সরকার নীতিমালা তৈরি করছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

বুধবার (২৮ অক্টোবর) রাজধানীর সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এনিমেল হেলথ কোম্পানিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আহকাব) এবং বাংলাদেশ অ্যাগ্রো ফিড ইনগ্রেডিয়েন্টস ইমপোর্টার্স অ্যান্ড ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাফিটা)-এর প্রতিনিধিদের সঙ্গে  অনুষ্ঠিত এক সভায় মন্ত্রী একথা জানান।

মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো  সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ, প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. আবদুল জব্বার শিকদার, মন্ত্রণালয় ও প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, আহকাব এর সভাপতি ডা. এম নজরুল ইসলাম, কার্যনির্বাহী সদস্য সায়েদুল হক খান, অনোয়ার হোসন ও মোশারফ হোসেন চৌধুরী, বাফিটা’র সভাপতি সুধীর চৌধুরী, সিনিয়র সহসভাপতি এ এম আমিরুল ইসলাম ও মহাসচিব হেলাল উদ্দিন সভায় উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘নীতিমালার মাধ্যমে পোল্ট্রি ও ডেইরি শিল্পকে সর্বোচ্চ সুবিধা প্রদান করা হবে। এ শিল্পের উন্নয়নে সাধ্যমতো সবকিছু করা হবে। এক্ষেত্রে বিদ্যমান বাধা অতিক্রম করার জন্য মন্ত্রণালয় থেকে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। কোভিড-১৯ এর কারণে দেশীয় অনেক শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসময়ে বাংলাদেশের গ্রামীণ অর্থনীতিকে সচল করা, দারিদ্র্য দূর করা, মানুষকে উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরি করা, মানুষের পুষ্টি ও আমিষের চাহিদা মেটানো এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য পোল্ট্রি ও ডেইরি শিল্পের উন্নয়নের কোনও বিকল্প নেই।’ 

আহকাব ও বাফিটা’র প্রতিনিধিদের উদ্দেশে মন্ত্রী আরও বলেন, ‘দেশ, বাজার ও অর্থনীতির স্থিতিশীলতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন করতে হবে। পোল্ট্রি ও গবাদিপশুর খাদ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখাসহ বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য ভূমিকা রাখতে হবে। যাতে সরকারকে বাজার মনিটরিং করতে না হয়। পারস্পরিক স্বার্থে আমাদের কাজ করতে হবে। আমরা অপনাদের সহযোগিতা করবো, তবে আপানাদেরও সরকারকে সহযোগিতা করতে হবে।’