চুক্তিতে অংশগ্রহণকারী যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি ও শিল্প-সংশ্লিষ্ট অ্যাসোসিয়েশনগুলো হলো কার্টারস ইনক; গ্যাপ ইনক; গ্লোবাল ব্র্যান্ডস গ্রুপ; লেভি স্ট্রস অ্যান্ড কোম্পানি; নাইকি; টেপস্ট্রি; টার্গেট; ভিএফ করপোরেশন; ওয়ালমার্ট; আমেরিকান অ্যাপারেল অ্যান্ড ফুটওয়ার অ্যাসোসিয়েশন; ন্যাশনাল রিটেইল ফেডারেশন; রিটেইল ইন্ডাস্ট্রি লিডার্স অ্যাসোসিয়েশন; এবং ইউ. এস. ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কোভিড-১৯ মহামারি অভূতপূর্ব গতি ও মাত্রায় বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ার মধ্য দিয়ে বৈশ্বিক পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থায় মারাত্মক ক্ষতিসাধন এবং বাণিজ্য ও বিনিয়োগ ব্যাপকভাবে বাধাগ্রস্ত হওয়ার ফলে বিশ্বজুড়ে সম্মুখ সারির শ্রমিকরা ঝুঁকিতে পড়েছে। বিভিন্ন খাতে কর্মরত লাখ লাখ শ্রমিক চাকরি হারিয়েছেন, যাদের মধ্যে একটি বড় অংশই নারী শ্রমিক।
মহামারির কারণে বাড়িতে থাকার নির্দেশ, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সাময়িকভাবে বন্ধ হওয়া, উৎপাদন স্থগিতকরণ, জাহাজে পণ্য পাঠাতে বিলম্ব ইত্যাদি পরিস্থিতির মধ্যে পণ্যের চাহিদা ও সরবরাহে ব্যাপকভাবে সমস্যা তৈরি হওয়ায় সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত শিল্পের অন্যতম হলো এশিয়ার পোশাক, জুতা ও ফ্যাশন-সংশ্লিষ্ট খাত। এই সমঝোতা চুক্তির ফলে বাংলাদেশ, কম্বোডিয়া, শ্রীলঙ্কা এবং ভিয়েতনামের পোশাক, জুতা ও ফ্যাশন-সংশ্লিষ্ট খাতের শ্রমিকদের যে সমস্যাগুলো রয়েছে তা নিরসনে আগামী বছরগুলোতে ইউএসএআইডি এবং খাত-সংশ্লিষ্ট বাণিজ্য জোট একসঙ্গে কাজ করার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হলো।
এর ফলে আগামী বছরগুলোতে বাংলাদেশ, কম্বোডিয়া, শ্রীলঙ্কা ও ভিয়েতনামের স্থানীয় অংশীদারদের সঙ্গে ইউএসএআইডি ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলো এই অঞ্চলে আরও টেকসই পোশাক, জুতা ও ফ্যাশন-সংশ্লিষ্ট খাত ও দক্ষ জনশক্তি তৈরি, এই খাতের কলকারখানায় শ্রমিকদের অধিকার ও কল্যাণ এবং নারী শ্রমিকদের ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে কাজ করবে।