নসরুল হামিদ বলেন, এক শ্রেণির মানুষ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মাণের সময় বলতো এখানে কেন্দ্র নির্মাণ করলে ৩০ হাজার মানুষ মারা যাবে। ভবিষ্যতে এখানে কারও সন্তান হবে না। বিভ্রান্তিকর এসব তথ্য ছড়িয়ে উন্নয়নে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারীদের এখন কেন্দ্রটিতে যাওয়া উচিত। তারা চাইলে নিরপেক্ষ পরামর্শক নিয়োগ দিয়েও পরিবেশ দূষণকারী উপাদান আমরা কী পরিমাণ ছাড়ছি দেখতে পারেন। প্রয়োজনে তাদের এই কাজে আমরাও সহায়তা দিতে পারি।
অনুষ্ঠানে পাওয়ার সেলের মহাপরিচালককে প্রতিমন্ত্রী বলেন, কোভিড পরিস্থিতি ঠিক হলে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়াদের কেন্দ্রটি পরিদর্শনের ব্যবস্থা করতে হবে। এতে নতুন প্রজন্মর ধারণা বদলে বিষয়টি প্রভাব রাখবে। মাত্র ২১ মাসে কেন্দ্রটির কাজ শেষ করায় তিনি সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান।
পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক শাহ আব্দুল মওলা সেমিনারে মূল প্রবন্ধে জানান, পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রতি ঘনমিটার বাতাসে সালফার ডাই অক্সাইড ছাড়ছে সর্বনিম্ন ৩২ দশমিক ৩৪ মিলিগ্রাম থেকে সর্বোচ্চ ১২৪ দশমিক পাঁচ মিলিগ্রাম। এখানে ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশনের (আইএফসি) বেঁধে দেওয়া মাত্রা প্রতি ঘনমিটারে ২০০ মিলিগ্রাম। অন্যদিকে কেন্দ্রটি প্রতি ঘনমিটারে ৭১ দশমিক ১৭ থেকে ২৫৬ দশমিক ৬৩ মিলিগ্রাম নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড ছাড়ছে। যেখানে আইএফসির বেঁধে দেয়া মাত্রা প্রতি ঘনমিটারে ৫১০ মিলিগ্রাম। পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র সর্বনিম্ন প্রতি ঘনমিটারে এক দশমিক ৮২ থেকে ছয় দশমিক ৭১ মিলিগ্রাম ছাই এবং অন্যান্য উপাদান বাতাসে ছাড়ছে। আইএফসির নির্ধারিত মাত্রা ৫০ মিলিগ্রাম প্রতি ঘনমিটারে। আর পরিবেশ অধিদফতর বলছে এই মাত্রা ১৫০ মিলিগ্রাম।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা অধ্যাপক ম তামিম বলেন, যারাই সমালোচনা করেন তাদের নিয়ে পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি দেখাতে হবে। কিভাবে কাজ করতে হয় তাদের বোঝাতে হবে। এনার্জি এন্ড পাওয়ারের সম্পাদক মোল্লাহ আমজাদের সঞ্চালনায় সেমিনারে পিডিবি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী বেলায়েত হোসেন, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন, অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী অধ্যাপক ফিরোজ আলম, বুয়েটের সহযোগী অধ্যাপক ড. কাজী বায়জিদ কবীর, খনি প্রকৌশলী ড. মুশফিকুর রহিম বক্তব্য রাখেন।