হোমল্যান্ড লাইফ ইনস্যুরেন্সের সোয়া ৪ কোটি টাকার ভ্যাট ফাঁকি



হোমল্যান্ড লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেডহোমল্যান্ড লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের চার কোটি ২৪ লাখ টাকার ভ্যাট ফাঁকি উদঘাটন করেছে  ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদফতরের একটি দল। ভ্যাট ফাঁকির প্রমাণ পাওয়ায় ইন্সুরেন্স প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে আজ সোমবার (১৬ নভেম্বর) ভ্যাট আইনে মামলা করা হয়েছে।

রাজধানীতে প্রতিষ্ঠানটির (এল্লাল চেম্বার, তৃতীয়তলা, ১১/মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা) অফিসে অভিযান চালান ভ্যাট গোয়েন্দারা। ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগ থাকায় ভ্যাট গোয়েন্দার একটি বিশেষ দল ইন্সুরেন্স কোম্পানির ২০১৫ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত কাগজপত্র তদন্ত করেন।

প্রতিষ্ঠানটির দাখিলকৃত সিএ ফার্ম এর দেওয়া বার্ষিক প্রতিবেদন, দাখিলপত্র (মূসক-১৯) এবং বিভিন্ন সময়ে প্রতিষ্ঠানটির জমাকৃত ট্রেজারি চালানের কপি ও অন্যান্য দলিল থেকে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত যাচাই করেন তারা। ভ্যাট গোয়েন্দার উপপরিচালক তানভীর আহমেদের নেতৃত্বে এই তদন্ত পরিচালনা করা হয়।

প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্য ও দলিলাদির ভিত্তিতে তদন্ত সময়ে উৎসে কর্তন বাবদ এক কোটি ৮৮ লাখ ১৪হাজার ৮২ টাকার ভ্যাট ফাঁকি উৎঘাটন করা হয়। এই ফাঁকির ওপর ভ্যাট আইন অনুসারে মাস ভিত্তিক দুই শতাংশ হারে এক কোটি চার লাখ ৮৬ হাজার ৯৭ টাকা সুদ  প্রযোজ্য হবে। এছাড়া একইসময়ে স্থান ও স্থাপনার ওপর ভাড়া বাবদ ৮৪ লাখ ৫৮ হাজার ৯১৮ টাকার ভ্যাট ফাঁকি উৎঘাটন করা হয়। যার ওপর মাস ভিত্তিক দুই শতাংশ হারে ৩৮ লাখ ৮৫ হাজার ১৫৩ টাকা সুদ আদায়যোগ্য।

তাছাড়া, সার্ভিসচার্জসহ অন্যান্য খাতেও ভ্যাট ফাঁকি হয়েছে চার লাখ ৫৪ হাজার ৩৭৮ টাকা। যার ওপর মাসভিত্তিক দুই শতাংশ হারে তিল লাখ ২১ হাজার ৪৬৯ টাকা সুদ প্রযোজ্য।

প্রতিষ্ঠানটির ভ্যাট বাবদ মোট দুই কোটি ৭৭ লাখ ২৭ হাজার ৩৭৮ টাকা এবং সুদ বাবদ  এক কোটি ৪৬ লাখ ৯২ হাজার ৭১৯ টাকাসহ সর্বমোট  চার কোটি ২৪ লাখ ২০ হাজার ৯৮  টাকা ভ্যাট ফাঁকির তথ্য উদঘাটিত হয়েছে।

হোমল্যান্ড ইন্সুরেন্স কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে ভ্যাট গোয়েদা অধিদফতরে উপস্থিত হয়ে লিখিতভাবে নিরীক্ষা প্রতিবেদনটি মেনে নিয়েছে। তারা স্বেচ্ছায় ২৪ লাখ ২০ হাজার ৯৮ টাকা জমা দিয়েছে। বাকি চার কোটি টাকা সরকারি কোষাগারে শিগগিরই স্বেচ্ছায় জমা দেবে বলে তারা ভ্যাট গোয়েন্দাকে অবহিত করেছে।