স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সবাইকে যেন টিকা দেওয়া যায় সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিককে ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী বলেছেন। সেই ব্যবস্থা নিয়েই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। ভ্যাকসিন যখন অ্যাভেইলেবল হবে, তখন আমরা এটা দিতে থাকবো।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে ভ্যাকসিন এলে অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশও পাবে। প্রথমে তিন শতাংশ দেবে, পরে তাদের কাছেও (ডব্লিউএইচও) ভ্যাকসিন আসবে, তখন বাকি ১৭ শতাংশ বিভিন্ন দেশকে দিতে থাকবে, সেখান থেকেও আমরা পেতে থাকবো। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও গ্যাভি কাদের তৈরি করা ভ্যাকসিন বাংলাদেশকে দেবে তা এখনও নিশ্চিত নয় বলেও জানান তিনি।
একইসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, স্বাস্থ্যসেবা আগের চেয়ে উন্নত হয়েছে বলেই কোভিড সংক্রমণ মোকাবিলায় বাংলাদেশ অন্য অনেক দেশের তুলনায় ভালো আছে। আমাদের কোনও কাজ থেমে নেই। করোনাভাইরাস সংক্রমণের মধ্যেও স্বাস্থ্যসেবা অব্যাহত আছে।
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ‘এখন পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণে আছে’ বলেও দাবি করেন জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগের একার পক্ষে করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব না। সবাইকে অংশগ্রহণ করতে হবে, নিয়ম মানতে হবে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সভাপতি অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সলান, জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফারুক আহমেদ প্রমুখ।