গত ৭ জুন মানবপাচার, ভিসা জালিয়াতি ও অর্থ পাচারের অভিযোগে পাপুলকে গ্রেফতার করে কুয়েতের পুলিশ। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পরে উঠে আসে কীভাবে বাংলাদেশের ওই সংসদ সদস্য মানুষকে প্রতারিত করে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন এবং এই কাজে তাকে কুয়েতের প্রভাবশালী সরকারি কর্মকর্তারা ঘুষ, উপহার ও অন্যান্য সুযোগের বিনিময়ে সহায়তা করেছে।
পাপুলের কোম্পানিতে ২০ হাজার বাংলাদেশি কাজ করে। তদন্তে বের হয়ে এসেছে, পাপুল প্রতি বছর বিভিন্ন ঘুষ, উপহার ও অন্যান্য খরচ বাদ প্রায় ৬০ কোটি টাকা নেট লাভ করতেন। এছাড়া ব্যাংকে জমাকৃত পাপুলের এবং তার কোম্পানির প্রায় ৫০ লাখ কুয়েতি দিনার (প্রায় ১৪০ কোটি টাকা) ফ্রিজ করার জন্য ওই দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংককে অনুরোধ করেছেনে সেখানকার পাবলিক প্রসিকিউটর।
আরও পড়ুন-
পাপুল গ্রেফতারের তথ্য জানে না জাতীয় সংসদ
কুয়েতে সংসদ সদস্য শহীদুল ইসলাম পাপুল আটক
পাপুলের থেকে ৩০ কোটি টাকা ঘুষ নেওয়া ব্যক্তিকে খুঁজছে পুলিশ
যুক্তরাষ্ট্রের মানবপাচার রিপোর্টেও এমপি পাপুল
ঘুষ দেওয়ার কথা স্বীকার করলেও নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন এমপি পাপুল