আলী যাকেরের অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আলী যাকেরএকুশে পদকপ্রাপ্ত বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দসৈনিক আলী যাকেরের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এক শোকবার্তায় শেখ হাসিনা বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধ, দেশের শিল্পকলা ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে আলী যাকেরের অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে।’

প্রধানমন্ত্রী মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

আলী যাকেরের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি। এক শোকবার্তায় তিনি বলেন, আলী যাকের বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। ছোটপর্দা ও মঞ্চে তিনি সমানভাবে জনপ্রিয় ছিলেন। দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে এ কীর্তিমান পুরুষের অনবদ্য অবদানের কথা জনগণ চিরকাল গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে মনে রাখবে।

বরেণ্য এই অভিনেতার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও।

উল্লেখ্য, শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) ভোর ৬টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে  চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আলী যাকের। তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। বার্ধক্য ও হার্টের সমস্যাসহ কিছু শারীরিক জটিলতা নিয়ে গত ১৭ নভেম্বর ঢাকার শ্যামলীর একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় আলী যাকেরকে। সেখানে তাকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল।

বেশ কিছু দিন ধরেই শারীরিক নানা সমস্যায় ভুগছিলেন আলী যাকের। সেটা হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়ায় জরুরি ভিত্তিতে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে করোনা টেস্ট করা হলে পজিটিভ ফল আসে।
কয়েক বছর ধরে আলী যাকের ক্যানসারের সঙ্গেও লড়াই করছিলেন। তাই সাংস্কৃতিক অঙ্গন থেকে নিজেকে কিছুটা সরিয়ে নিয়েছেন।

১৯৭২ সালের আরণ্যক নাট্যদলের ‘কবর’ নাটকে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে পথচলা শুরু করেন এই নাট্যব্যক্তিত্ব। পরবর্তী সময়ে ১৯৭৩ সাল থেকে কাজ করছেন নাগরিক নাট্যসম্প্রদায় নিয়ে। মঞ্চের পাশাপাশি টিভি নাটকেও সমাদৃত হন এই তারকা। স্ত্রী সারা যাকেরকে নিয়ে গড়ে তোলেন দেশের বৃহৎ বিজ্ঞাপনী সংস্থা। সাম্প্রতিক সময়ে যার হাল ধরেছেন তারই পুত্র অভিনেতা ইরেশ যাকের।

আরও পড়ুন- নন্দিত অভিনেতা আলী যাকের আর নেই