মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম ও পূর্ব প্রান্তে এই ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন সিরাজগঞ্জের বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম প্রান্ত থেকে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন। অনুষ্ঠানে স্থানীয় সংসদ সদস্য, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব সেলিম রেজা ও বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত বক্তব্য রাখবেন।
সূত্র জানায়, বঙ্গবন্ধু রেলসেতু হবে বিদ্যমান বঙ্গবন্ধু সেতুর সমান্তরাল ডুয়েল গেজ ডাবল ট্র্যাকসহ প্রায় চার দশমিক ৮০ কিলোমিটার। সেতুর উভয়প্রান্তে প্রায় দশমিক শূন্য পাঁচ কিলোমিটার ভায়াডাক্ট, প্রায় সাত দশমিক ৬৬৭ কিলোমিটার রেলওয়ে অ্যাপ্রোচ এমব্যাংকমেন্ট অ্যান্ড এবং লুক ও সাইডিংসহ মোট প্রায় ৩০ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণ করা হবে।
বঙ্গবন্ধু রেল সেতু ডুয়েল গেজ ডাবল ট্র্যাক হওয়ায় পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলের মধ্যে চলাচলকারী সংশ্লিষ্ট ট্রেনগুলোর ক্রসিংজনিত কারণে আগের মতো স্টেশনগুলোতে অপেক্ষা করতে হবে না। ফলে সংশ্লিষ্ট ট্রেনগুলোর রানিং টাইম আনুমানিক ২০ মিনিট কমবে, পরিচালন ব্যয় কমবে এবং রেলওয়ের আয় বাড়বে। এ সেতুতে গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইন স্থাপন করা হবে।
২০২৪ সালের আগস্ট মাসে এ রেলসেতুর নির্মাণকাজ শেষ হবে। ওই বছরই সেতুটি ট্রেন চলাচলের জন্য চালু করা হবে।
রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, সেতুর কাজ শুরুর পর সিরাজগঞ্জ থেকে বগুড়া পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণের কাজ দ্রুত শুরু হবে। মন্ত্রী বলেন, এই রেল সেতু সমগ্র উত্তরাঞ্চলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ডাবল লাইনের এই সেতু দিয়ে ১০০ কিলোমিটার বেগে ট্রেন চলাচল করতে পারবে।
এ বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক কামরুল আহসান জানান, উদ্বোধনের প্রস্তুতি চূড়ান্ত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের সঙ্গে সঙ্গে সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু হবে। এজন্য সেতু নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা ইতোমধ্যে প্রকল্প এলাকায় অবস্থান করছেন।