ডাকটিকিট ইতিহাসের স্মারক

 বাংলাদেশ ফিলাটেলিক সোসাইটি আয়োজিত ওয়েবিনার

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ‘ডাকটিকিট একটি জাতির ইতিহাস ও ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, বরেণ্য ব্যক্তিদের ইতিহাসের স্মারক হিসেবে কাজ করে। ফলে চিঠি লেখার দিন থাকুক বা না থাকুক ডাক টিকিটের প্রয়োজনীয়তা আছেই, থাকবেও। জ্ঞানার্জনের জন্য ডাকটিকিটে যে তথ্য পাওয়া যায় তা অন্য কোথাও পাওয়া দুষ্কর। নতুন প্রজন্মকে তাই ডাকটিকিট সংগ্রহে উৎসাহিত করতে হবে। এটি একটি সৃজনশীল কাজ হওয়ায় অংকন-ডিজাইনে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় শিক্ষিত সৃজনশীল মানুষদেরকে স্মারক ডাকটিকিটের ডিজাইনে কাজে লাগাতে হবে।’

মন্ত্রী শনিবার রাতে (২৮ নভেম্বর) আয়োজিত এক ওয়েবিনারে বাংলাদেশ ফিলাটেলিক সোসাইটি আয়োজিত স্মারক ডাকটিকিটের পরিপ্রেক্ষিত বিষয়ক মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন,  ‘মুজিব জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর জীবনের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা যেভাবে স্মারক টিকেটের মাধ্যমে প্রকাশ করেছি। স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতেও স্বাধীনতার ঘটনাবহুল বিষয়গুলো নিয়ে স্মারক ডাকটিকেট প্রকাশের উদ্যোগ নেওয়া হবে। এসব স্মারক ডাকটিকিট ইতিহাস জানার জন্য পরবর্তী প্রজন্মের জন্য মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে এ আমার দৃঢ় বিশ্বাস।’

অনুষ্ঠানে বক্তারা স্মারক ডাকটিকিট একটি জাতির ভবিষ্যত জ্ঞান সম্পদ উল্লেখ করে বলেন,  ‘ইতিহাস ঐতিহ্যের পাশাপাশি বাংলাদেশের পাহাড়, ঝর্ণাসহ নানা প্রাকৃতিক রূপ বৈচিত্র্য নিয়ে স্মারক ডাকটিকেট প্রকাশ করা যায়। এর ফলে দেশে-বিদেশে এর চাহিদা আরও বাড়বে। তারা ডাক অধিদফতরের ফিলাটেলিক ব্যুরোকে আধুনিকায়নের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।