ডাকটিকিট দেশ ও জাতির প্রতিকৃতি প্রকাশ করে: মোস্তাফা জব্বার

৯৯ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, নতুন প্রজন্মের কাছে ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, ব্যক্তিত্ব ও প্রকৃতিকে তুলে ধরতে ডাকটিকিটের চেয়ে ভালো মাধ্যম আর কিছু হতে পারে না।  বস্তুত ডাকটিকিট একটি দেশ ও জাতির প্রতিকৃতি প্রকাশ করে। ডাকটিকিট কেবল একটি খামে বসিয়ে দেওয়া বা পোস্টকার্ডে প্রকাশ করাই নয়, বরং এর মাধ্যমে সারা দেশকে, দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, প্রকৃতি কৃষ্টি, ব্যক্তিত্ব, সমাজ ব্যবস্থা ও জীবন ধারা তুলে ধরা যায় বলে মনে করেন তিনি।

সোমবার (৩০ নভেম্বর) ঢাকায় ডাক ভবনে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে বাংলাদেশ ফিলাটেলিক অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত বাংলাপেক্স জাতীয় ডাকটিকিট প্রদর্শনীর উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

ডাকটিকিট প্রকাশের ক্ষেত্রে বিষয় নির্ধারণে সৃষ্টিশীলতা ও শৈল্পিক বিষয়টি খুবই গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে হবে।  তিনি ডাকটিকিট সংগ্রহকে একটি আন্দোলনে পরিণত করতে ডাকটিকিট সংগ্রাহকদের সংগঠনসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. আফজাল হোসেন, ডাক অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. সিরাজ উদ্দিন, বাংলাদেশ ফিলাটেলিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শরিফুল আলম ও সম্পাদক আনোয়ার ইসলাম বক্তৃতা করেন।

ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী যুগের চাহিদা পূরণে ডাকঘরগুলোকে অ্যানালগ থেকে ডিজিটালাইজেশনে রূপান্তরের চলমান কার্যক্রম তুলে ধরে বলেন, ‘ডাকঘরের কর্মীরা যদি নিজেদের উপযুক্ত করে তৈরি করতে পারেন, তাহলে ডাকঘর একটি শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে উঠবেই।  ডাকঘরকে ডিজিটালাইজেশনের যে যাত্রা শুরু হয়েছে, এটা শেষ হলে ডাক বিভাগ তার অতীতের সোনালি অধ্যায় ফিরিয়ে আনতে পারবে।’

ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব বলেন, ‘ডাকটিকিট সংগ্রহ কেবলমাত্র শখের বিষয় নয়, এটির ঐতিহাসিক মূল্য অনেক বেশি।’