রমনা পার্কের উন্নয়ন কাজে ধীরগতিতে অসন্তোষ

সংসদীয় কমিটির বৈঠকরাজধানীর রমনা পার্কের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও সৌন্দর্য বৃদ্ধির কাজে ধীরগতিতে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি। মঙ্গলবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকের কার্যপত্র থেকে এ অসন্তোষের তথ্য জানা গেছে।

বৈঠকে রমনা পার্ক এলাকার মসজিদ ছাড়া নকশা বহির্ভূত সব স্থাপনা, জরাজীর্ণ ভবন ও রেস্টুরেন্ট ভেঙে কফিশপ নির্মাণের সুপারিশ করে কমিটি। এছাড়া কমিটি নকশা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক করে দ্রুত বাস্তবায়ন ও শিশু পার্কের আধুনিকায়ন কাজ শেষ করার তাগিদ গিয়েছে।

সংসদীয় কমিটির বৈঠকের নথি থেকে জানা গেছে, গত সেপ্টেম্বর মাসে রমনা পার্ক উন্নয়নে নেওয়া প্রকল্পে ধীরগতিতে অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়।

ওই বৈঠকে কমিটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেছিলেন, দীর্ঘদিন ধরে অর্থ বরাদ্দসহ নকশা প্রণয়নের কাজ চূড়ান্ত হলেও শুধু ওয়াকওয়ে নির্মাণের কাজ হয়েছে। পার্ক এলাকায় একটি চাইনিজ রেস্টুরেন্ট ও পার্টি সেন্টার থাকায় সেখানকার পরিবেশ প্রতিনিয়ত দুষিত হচ্ছে। পৃথিবীর কোথাও বড় পার্কগুলোতে রেস্টুরেন্ট থাকার নজির নেই। বৈঠকে গণপূর্ত বিভাগের প্রধান প্রকৌশলীকে উন্মুক্ত কফিশপ নির্মাণের জন্য ব্যবস্থা নিতে বলা হয়। ওই বৈঠকে গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদও কাজটি দ্রুত শেষ করার ওপর তাগিদ দেন।

নথি থেকে জানা গেছে,  ৪৭ কোটি ৯৬ লাখ ১২ হাজার টাকা ব্যয়ে ওই প্রকল্প নেওয়া হয় ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে। চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসে এর কাজ শেষ হওয়ার কথা। জুন মাস পর্যন্ত এ কাজে অগ্রগতি হয়েছে ১৫ শতাংশ।

সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়,  বৈঠকে কমিটি ঢাকার মিরপুরে আবাসিক ফ্ল্যাট ‘স্বপ্ননগর আবাসিক প্রকল্প ১’ ও  ‘স্বপ্ননগর আবাসিক প্রকল্প ২’ এবং উত্তরার তৃতীয় ফেজে  ফ্ল্যাট নির্মাণ প্রকল্পের কাজ পরিদর্শন এবং মিরপুরে বস্তিবাসীদের জন্য ভাড়াভিত্তিক নতুন প্রকল্প গ্রহণের সুপারিশ করে।

বৈঠকে রাজশাহীর আরডিএ মার্কেট ভেঙে নতুন করে নির্মাণের জন্য সিটি করপোরেশনের সঙ্গে বৈঠক করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।

এছাড়া গুলশান-বনানী-বারিধারা লেক উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যয় কমানোর জন্য বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক করার সুপারিশ করা হয়।

ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, মো. জিল্লুল হাকিম, মো. মনোয়ার হোসেন চৌধুরী, আনোয়ারুল আশরাফ খান এবং জোহরা আলাউদ্দিন অংশ নেন।