'জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক নীতিমালা তৈরি করা হবে'

IMG-3152স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, স্বেচ্ছাসেবকদের কাজের স্বীকৃতি এবং একটি কাঠামোতে আনতে দেশে 'জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক নীতিমালা' তৈরি করা হবে। শনিবার (৫ই ডিসেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে'আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক দিবস-২০২০' ও পুরস্কার বিতরণ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা জানান।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়, যুব উন্নয়ন অধিদফতর, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, ইউএনভি বাংলাদেশ এবং ওয়াটার এইড যৌথভাবে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
মন্ত্রী বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে, বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও দুঃসময়ে স্বেচ্ছাসেবকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অনেক জনকল্যাণমূলক কাজে অংশ নেন। জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক নীতিমালা প্রণয়ন করা হলে সরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বেসরকারি খাত এবং উন্নয়ন অংশীদারদের স্বেচ্ছাসেবা কার্যক্রমকে মূলধারায় আনা এবং স্বেচ্ছাসেবাকে সরকারি স্বীকৃতি প্রদানে সহায়ক হবে। এ লক্ষ্যে ন্যাশনাল টেকনিক্যাল ওয়ার্কিং কমিটি গঠন ও কমিটির কার্যপরিধি চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে কাজ চলছে বলেও জানান তিনি।
তিনি জানান, জাতিসংঘ ১৯৮৫ সালে স্বেচ্ছাসেবকের স্বীকৃতি দেয়। কিন্তু স্বাধীনতার পরেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে ১৯৭৩ সালের ১লা জুলাই দুর্যোগ প্রস্তুতি কর্মসূচি চালু হয় এবং তখনই বঙ্গবন্ধু স্বেচ্ছাসেবীদের বিষয়ে ভেবেছেন। পরবর্তীতে জাতীয়ভাবে স্বেচ্ছাসেবী নীতিমালা তৈরি হয়নি। এ সময় স্বেচ্ছাসেবায় অবদান রাখায় ১৮ জন স্বেচ্ছাসেবকদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন মন্ত্রী।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আকতার হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব আমিনুল ইসলাম খান এবং জাতিসংঘের আবাসিক কোঅর্ডিনেটর মিয়া সেপ্পো।