বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় কোনও আপোষ নয়: বিমান প্রতিমন্ত্রী

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলীবেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেছেন, ‘বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিয়ে কোনও আপোষ নয়। বিমানবন্দরে নিরাপত্তার সঙ্গে দেশের ভাবমূর্তি জড়িত। বিমানবন্দরে কর্মরত সকল সংস্থার কর্মীদের বিমানবন্দর ও যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় বিঘ্ন সৃষ্টির চেষ্টাকারীকে কোনও প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না।’

বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অনুষ্ঠিত নিরাপত্তা মহড়ায় প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদানকালে তিনি এই কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের সকল বিমানবন্দরের আন্তর্জাতিক মানের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। দেশের প্রধান বিমানবন্দর হিসেবে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়নে বডি স্ক্যানার, এক্সপ্লোসিভ ডিটেকটিভ সিস্টেম, ডুয়েল ভিউ এক্সরে মেশিন, ওয়াক থ্রু মেটাল ডিটেক্টর ও আন্ডার ভেহিকেল সার্ভেইলেন্স সিস্টেমসহ নানা আধুনিক নিরাপত্তা সরঞ্জাম স্থাপন করা হয়েছে। বর্তমানে এই বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পূর্বের যেকোনও সময় থেকে অনেক বেশি উন্নত।’

IMG_4988[1]আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের বিধি অনুযায়ী প্রতি দুই বছর পর পর বিমানবন্দর সমূহের নিরাপত্তা মহড়া আয়োজনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক এ এইচ এম তৌহিদুল আহসানের পরিচালনায় নিরাপত্তা মহড়ায় বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ, অ্যাভিয়েশন সিকিউরিটি ফোর্স, বাংলাদেশ বিমান বাহিনী, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, র‍্যাব, এপিবিএন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, স্বাস্থ্য বিভাগসহ বিমানবন্দরে কর্মরত অন্যান্য আরও প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করে।

নিরাপত্তা মহড়ায় আরও উপস্থিত ছিলেন, বিমান বাহিনীর সহকারী প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. আবুল বাশার, বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর বঙ্গবন্ধু ঘাঁটির এয়ার অধিনায়ক এয়ার ভাইস মার্শাল সাঈদ হোসেন এবং অন্যান্যরা।